চাঁদপুর-শরিয়তপুর হরিণা ফেরিঘাটে পণ্যবাহী গাড়ী পারাপার করছে ২টি ফেরি!
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ-পরিবহন করপোরেশন(বিআইডব্লিউটিসি) চাঁদপুর-শরিয়তপুর হরিণা ফেরিঘাট কার্যালয়ের আওতায় ২টি ফেরি চলাচল করছে।করোনা পরিস্থিতি ছাড়া যদিও অন্য সময় মোট ৪টি ফেরি চলাচল করতো। জানা যায়, চট্রগ্রাম-ফেনী থেকে হরিণা ফেরিঘাট হয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যারওয়ার উদ্দেশ্যে এই ঘাটটি ব্যবহৃত হয়। যেখানে ফেরি পরিসেবায় চালকদের ১টন হতে ৩টন পর্যন্ত ছোট ট্রাক/কাভার্ড ভ্যান/লরী ৯’শ ৮০ টাকা, ৫টন হতে ৮টনের ট্রাক/লরি ১ হাজার ৪’শ টাকা,অফসাইটে ১ হাজার ৮’শ টাকা, ২৩ টনের ওপরে হলে প্রতি টনে ১’শ ৬০ টাকা এবং নরমাল ট্রাক ২০টন ১’শ ৬০ টাকা করে ওঠে ৩ হাজার ৪’শ টাকা দিতে হচ্ছে।
তবে চালকরা জানায়, এই হরিণা ফেরিঘাটের ফেরি থেকে তেল চুরি, ওজন স্কেলে অনিয়ম এবং টাকার বিনিময়ে একই গাড়ি দু’বার স্কেল স্লিপ করিয়ে পরের গাড়ি আগে ফেরি দিয়ে পারাপার করা সহ নানা অভিযোগ রয়েছে। যদিও কিছুদিন আগে স্কেল দুর্ণীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এখানকার এক অফিস সহকারী নজরুল ইসলাম নামের একজনকে স্ট্যান্ড রিলিজ করেছেন ফেরিঘাটের ম্যানেজার ফয়সাল আহমেদ চৌধুরী।
ফেরি পরিসেবা সম্পর্কে ঘাটের কর্মরত টিএ জাহিদুল ইসলাম জানান, চাঁদপুর করোনায় লক ডাউনের পর থেকে এই ঘাটে তরমুজ, ছোলা, মালবাহী ট্রাক, মাছ, মাছের রেনু, গ্যাসের সিলিন্ডারবাহী ট্রাক পারাপার হচ্ছে। ৮টি বড় ট্রাক আর ছোট ৩টি ট্রাক বা সমপরিমান পণ্যবাহী গাড়ি আসলেই ফেরি ছেড়ে দেওয়া হয়। এখানে চালকদের থেকে অতিরিক্ত কোন টাকা নেওয়া হয় না। ২৭শে এপ্রিল সোমবার হরিণা ফেরিঘাট কার্যালয়ের ওএসিটি ফরাজি মোঃ সুরুজ জানান, এদিনে এখন পর্যন্ত বড় ৫৬ টা ট্রাক এবং মিনি (প্রাইভেট, মাইক্রো, পিকআপ ভ্যান) ৬টা ট্রাক পার হইছে। এখানে ডিজিটাল ভেকিয়ালে ওজন মাপা হয়। তাই চালকরা বললেও ওজন কমানো বা অনিয়মের সুযোগ নেই। তবে রাজস্ব আদায়ের হিসাবের কথাটি তিনি কৌশলে এড়িয়ে যান।
চাঁদপুর লক ডাউনে সাধারণ মানুষ পরাপার করা হয় কি না? এই প্রসঙ্গে কস্তোরী ফেরির ভারপ্রাপ্ত মাষ্টার আসাদুজ্জামান জানান, কস্তুরি ও কুমারী নামের ২টি ফেরি সারাদিনে ৫/৭ বার করে পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার করছে। এ ছাড়াও অন্যসময়ে করোবী ও কামেনী নামের আরো ২টি ফেরিও এই পারাপারের কাজ করছে। প্রায় দেড় ঘন্টার এই পারাপার সময়ে চলমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় পণ্যবাহী গাড়ি ছাড়া অন্য কিছু (সাধারণ মানুষ) পারাপার করা হয় না। যদি প্রশাসন অন্য কোন জেলায় ছাড়পত্র দিয়ে কোন কৃষক বা শ্রমিক পাঠায়। তাহলে শুধুমাত্র তাদের কে পারাপার করা হয়। তবে পারাপারে ফেরি কর্তৃপক্ষ কর্তক গাড়ি চালকদের জন্য করোনা সতর্কতামূলক যেমন স্প্রে ছিটানো বা হ্যান্ড সেনিটাইজার ব্যবহারের কোন দৃশ্য দেখা যায়নি।