• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

হাইমচরে মিস্টার রাঢ়ি হত্যায় ২ জন আটক

প্রকাশ:  ২৮ এপ্রিল ২০২০, ২২:১৩
স্টাফ রিপোর্টার।।
প্রিন্ট

ঘটনাস্থলে পাওয়া একটি রুমালের সূত্র ধরে হাইমচর উপজেলার আলগী দক্ষিণ ইউনিয়নের চরপোড়ামুখী গ্রামে হাসিম রাঢ়ীর পুত্র মিস্টার রাঢ়ি (৩৮) হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। হত্যাকান্ডের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্লু পেয়েছে তদন্তকারী কর্মকর্তা।

নগদ অর্থ ও সম্পদ আত্মসাতের লোভে আপন ৬ লাখ টাকা চুক্তিতে মিস্টারকে হত্যার পরিকল্পনা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ক্লু মিলেছে। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হচ্ছে, যেই স্বজন তাকে রক্ষা করার কথা সেই স্বজন এখন অভিযোগের কাঠগড়ায়! তবে তদন্তের স্বার্থে আপাতত বিস্তারিত জানাতে অপারগতা জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র জানায়, মিস্টার হত্যাকান্ডের মাস্টারমাইন্ড ও মিস্টারের অতি আপনজন ১জনসহ সরাসরি হত্যাকান্ডে জড়িত দু’জন বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে আছেন, হামলায় অংশ নেয়া (ঘটনার পর হতে পলাতক) একজনকে খুঁজছে পুলিশ। তবে হত্যাকান্ডের ঘটনায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে অধিকতর তদন্ত চলমান থাকায় পুলিশ এখনই আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই বলছেন না।

সূত্রটি জানায়, মিস্টার ও আক্তার দুই ভাই এলাকায় তারা বিভিন্ন মানুষজনের সুপারি বাগান লিজ (কট চুক্তিতে) নিয়ে ব্যবসা করতো। দুই ভাইয়ের ব্যবসা আলাদা ছিল।

সূত্রটি আরো জানায়, সুপারির বাগান কট চুক্তি ব্যবসা করে উভয়েই বেশ কিছু নগদ অর্থের মালিক হয়েছেন। দুই বছর পূর্বে মিস্টারের মা মারা যায়। দু’জনেই অবিবাহিত, বাবা হাসিম রাঢ়ী বার্ধক্য অবস্থায় আছেন। এলাকায় মিস্টার বা তার ভাইয়ের প্রকাশ্য কোন শত্রুতা সম্পর্কে এলাকাবাসীর তেমন ধারণা নেই।

তথ্য প্রদানকারী সূত্রটি জানায়, পুলিশ হেফাজতে থাকা হত্যাকান্ডে জড়িত ব্যক্তির স্বীকারোক্তিতে তার ভাগিনা এবং মিস্টার এর আপনজন বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে আছেন। হেফাজতে থাকা অবস্থায় হত্যায় জড়িতের দেয়া তথ্য মতে, গত ২০ এপ্রিল মিস্টার কাজ শেষে বিকেলে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুর (তিনি বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে) আমন্ত্রণে (পরিকল্পনাকারীর পরিকল্পনা মোতাবেক) পার্শ্ববর্তী বাগানে যায়, সেখানে যাওয়ার পর হামলাকারী মামা ভাগিনা (দুজনই আটক) ও পলাতক ব্যক্তি রুমালওয়ালা মিস্টারকে মাথায় আঘাত এবং মুখে রুমাল গুজে হত্যা নিশ্চিত করে।

হত্যাকান্ড বিষয়ে হাইমচর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. জহিরুল ইসলাম খান জানান, হত্যার রহস্য পুরোপুরি উম্মোচন এবং দুইজনকে ধরার জন্য পুলিশ চেষ্টা অব্যাহত আছে। হত্যায় জড়িত সন্দেহে তিনজন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। মামলা তদন্তাদীন নিশ্চিত করে কিছু জানাতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।