• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

‘ঢাকা অ্যাটাক’ দেখে যা বললেন শাওন

প্রকাশ:  ০৯ অক্টোবর ২০১৭, ১৪:১৫
বিনোদন প্রতিবেদক
প্রিন্ট

মানহীন আর ফ্লপ ছবির কারণে যখন ঢাকাই ইন্ডাস্ট্রি থেমে থেমে চলছে, তখনই বছরে দু’একটা ছবি এমন কিছু করে দেখাচ্ছে, যা এক কথায় দুর্দান্ত। চলতি বছরে শাকিব খানের ‘নবাব’ যেমন সিনেমা হলে দর্শকের ঢল নামিয়েছিলো, এবার সেই পথেই হাঁটলো ‘ঢাকা অ্যাটাক’। শুক্রবার মুক্তির পর থেকে বহুল আলোচিত ছবিটি দর্শকের মন জয়ের পাশাপাশি ব্যবসায়িক দিক দিয়েও পাচ্ছে সফলতা। টানা তিন দিন অধিকাংশ হলে হাউজফুল শো’র মাধ্যমে ছবিটি বুঝিয়ে দিয়েছে, ভালো ছবি নির্মিত হলে দর্শক সিনেমা হলে যায়।

শুধু সাধারণ দর্শকের প্রশংসাই নয়, ইন্ডাস্ট্রির অনেক গুণী গুণী তারকাও প্রশংসায় ভাসাচ্ছে ‘ঢাকা অ্যাটাক’কে। সেই তালিকায় যোগ হলো নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী গুণী নির্মাতা ও অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনের নাম। ফেসবুকের মাধ্যমে তিনি ছবিটির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

শাওন লিখেছেন, ছবি কিন্তু অনেক পছন্দ হয়েছে। পরিচালক দর্শকের জন্য ছবিটা বানিয়েছেন। ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে নায়িকা নিয়ে ঘুরার জন্য বানান নাই। গাদা গাদা বিদেশী সিনে ম্যাগাজিনের রিভিউ বেচার চেষ্টা করেন নাই। কাহিনীকার সানী সানোয়ার তামিল ছবি কিংবা কারও জীবন কপি করেন নাই। বাংলাদেশের মতো স্বল্প পরিসরের কারিগরি রসদ নিয়ে আন্তর্জাতিক মানের ছবি বানানোর চেষ্টা করেছেন। হ্যাটস অফ দীপংকর দীপন।

শাওন আরও লেখেন, আমার বাংলা সিনেমা না দেখা এনএসইউ’তে পড়া কর্পোরেট বন্ধুরাও ছবি দেখে আনন্দ পেয়েছে। ‘টিকাটুলির মোড়’ গানটির সঙ্গে তাল মিলিয়েছে। বোম্ব ডিসপোজালের পর নিজের অজান্তেই আমরা হলভর্তি দর্শকের সঙ্গে তালি দিয়েছি। অফিসার আশফাকের অনাগত সন্তানের কথা ভেবে আবেগী হয়েছি। মানসিক ভাবে অসুস্থ জিসানের ক্রুরতায় শিউরে উঠেছি। দেশের জন্য বাংলাদেশ পুলিশের অবসরহীন দায়িত্ববোধ দেখে আপ্লুত হয়েছি। সত্যিকারের বেশ কিছু পুলিশ অফিসার ছিলেন এই ছবিতে, প্রত্যেকের কাছ থেকেই সাবলীল অভিনয় বের করে নিয়েছেন পরিচালক।  

ফেসবুকে শাওন আরো লিখেছেন, পরীক্ষিত অভিনেতা শতাব্দী ওয়াদুদের পাশাপাশি এবিএম সুমন ছিলেন দুর্দান্ত। কথায় কথায় ‘ডাবল’ বলা নাম না জানা অভিনেতাও নজর কেড়েছে।  আর জিসান চরিত্রে তাসকিন আমার শৈশবের সরল সাদাসিধা বন্ধুটা এমন অসুস্থ একটা চরিত্রে যা করে দেখালো! অঞ্জন, বন্ধু তুমি বর্ন এক্টর। সবশেষে পরিচালককে বলতে চাই, দাদা আপনি মুক্তিযুদ্ধের একটা ছবি বানান।  দর্শক হিসাবে আমি অপেক্ষায় থাকব।