ফরিদপুরে ৪৯ প্রাথমিক স্কুলে বন্যার পানি
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দিলেও এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
ফরিদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, জেলার সদর, ভাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসন ও মধুখালী উপজেলায় ৪৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া আরও পাঁচটি বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ পানিতে তলিয়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সরকারি সিন্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ওই সব প্রতিষ্ঠানে ক্লাস নেওয়ার বিষয়ে চিন্তায় রয়েছি। তবে আশার খবর হল, গত দুইতিন দিন ধরে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পানি নেমে যায় তাহলে ওই প্রাথমিক স্কুলগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।”
বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, ফরিদপুর সদরপুর উপজেলার চন্দ্রপাড়া এলাকায় বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি উঠেছে।
এ উপজেলার চেয়ারম্যান কাজী শফিকুর রহমান বলেন “পানি নেমে না যাওয়া পর্যন্ত ওই স্কুলগুলোতে ক্লাশ নেওয়া সম্ভব হবে না।”
চরভদ্রাসনের গাজীরটেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইয়াকুব আলী জানান, তার ইউনিয়নের রমেশবালাডাঙ্গি গ্রামের মণ্ডলডাঙ্গি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি উঠেছে। পানি না কমলে স্কুল খোলা সম্ভব না।
একই কথা জানালেন ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাকুজ্জামান। তিনি বলেন, তার ইউনিয়নের দুটি স্কুল পদ্মারচর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কামারডাঙ্গি এলাকায় অবস্থিত ফেরদৌসী মোহন মিয়া জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠেও পানি জমেছে।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, তারা পানিবন্দি স্কুলগুলোর অবস্থা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছেন।যেহেতু বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে, অল্প কিছু দিনের মধ্যে স্কুলগুলো থেকে পানি নেমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্কুলগুলোতে ক্লাশ শুরুর উপযোগী করতে ইতোমধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।