• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

উখিয়া ক্যাম্পের ৪ ওয়ার্ডকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা

প্রকাশ:  ০২ জুন ২০২১, ১২:০৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

কক্সবাজারের উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের রোহিঙ্গা ক্যাম্প অধ্যুষিত চারটি ওয়ার্ডকে করোনার প্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে ‘রেডজোন’ ঘোষনা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ জুন) রাত ১২টা থেকে ৬ জুন পর্যন্ত ২, ৫, ৬ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে কঠোরভাবে লকডাউন শুরু হয়েছে।

বুধবার (২ জুন) উখিয়ার নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করে উখিয়া ক্যাম্প ও নিকটবর্তী এলাকায় করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। এ কারণে ২৩ মে থেকে উপজেলার জনবহুল এলাকায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। এরপরও থামছে না করোনার ঊর্ধ্বমুখী। এ কারণে সাম্প্রতিক সময়ে করোনার বেশি প্রাদুর্ভাব দেখা যাওয়া ক্যাম্প এলাকার চারটি ওয়ার্ডকে রেড জোন ঘোষণা দেয়া হয়েছে।’

ইউএনও আরও বলেন, ‘লকডাউন ও কঠোর নিয়ন্ত্রণ চলাকালে কোভিড-১৯ বিষয়ক সরকারের সব বিধি নিষেধ, স্বাস্থ্য বিধি সব পর্যায়ে মানতে বাধ্য করা হবে। পুরো উপজেলায় এ নিয়ন্ত্রণ আগামী ৬ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এ সময় উখিয়া উপজেলায় কোনো মানুষ বাইরে থেকে এসে প্রবেশ করতে পারবে না। আবার উখিয়া উপজেলা থেকে কোনো বাইরে যেতে পারবে না। সীমান্ত ও উপজেলার সর্বত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাতদিন বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে কাজ করবে।’

কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে সরাসরি কোন বাস চলাচল করতে পারবেনা জানিয়ে ইউএনও বলেন, ‘ওষুধ ও অত্যাবশ্যকীয় দোকান ব্যাতীত কোনো দোকান খোলা রাখা যাবে না। উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে লকডাউন ও কঠোর নিয়ন্ত্রণ চলাকালে জরুরি বিষয় ছাড়া সবকিছুর যাতায়াতও বন্ধ থাকবে।’

রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, ‘ক্রমাগত করোনা পজিটিভ বাড়ায় জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় রাজাপালং ইউনিয়নের ২, ৫, ৬ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড়কে রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। ওয়ার্ডগুলো রোহিঙ্গা ক্যাম্প অধ্যুষিত বা কাছাকাছি এলাকা। করোনা সংক্রমণ রোধে সবধরনের কঠোরতা পালন করা হচ্ছে।’

এদিকে, ৩১ মে পর্যন্ত উখিয়া উপজেলায় ২ হাজার ২৬৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এটি কক্সবাজার জেলার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণ। আক্রান্তদের মধ্যে স্থানীয় নাগরিক ১ হাজার ২৫০ জন এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী ১ হাজার ১৪ জন।