• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

মায়ের সাথে রাগ করে লাকসাম থেকে চাঁদপুরে

মেয়র জুয়েলের তাৎক্ষণিক উদ্যোগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের মানবিকতায় অবুঝ শিশু খাদিজা ফিরে গেলো মায়ের কোলে

প্রকাশ:  ১৫ জানুয়ারি ২০২১, ১৪:০৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর পৌর ৮নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রাকিব হোসেন অতিত সোমবার রাতে ৯/১০ বছরের ছোট্ট একটি মেয়ে শিশুকে চাঁদপুর শহরে খুঁজে পান। তার নাম খাদিজা। সে তার বাবার নাম, মার নাম এবং গ্রামের নাম শুধু বলতে পেরেছে। এর আগে ৮নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সদস্য হাসিব, রায়হান ও জুয়েল তাদের আহ্বায়ক রাকিব হোসেন অতিতকে খুঁজে পাওয়া মেয়েটির বিষয় জানান। মেয়েটি মায়ের সাথে রাগ করে লাকসাম থেকে ট্রেনে উঠে চাঁদপুর চলে আসে। ছোট্ট শিশু একাই ঘুরে বেড়াচ্ছ চাঁদপুর শহরের অলি-গলিতে। অপরিচিত শহরে ছোট্ট মেয়ে একা ঘুরে বেড়ানো শুধু বিপজ্জনকই নয়, ভয়ঙ্কর বিপজ্জনক। রাকিব ছোট্ট মেয়েটিকে নিজ হেফাজতে নিয়ে গিয়ে রাত হয়ে যাওয়ায় নিজের দাদীর কাছে নিয়ে রাখে। মেয়েটির গায়ে ছিলো অপরিষ্কার ময়লাযুক্ত কামিজ ও হাফপ্যান্ট। পরদিন মঙ্গলবার সকালে রাকিব নিজে মেয়েটিকে নতুন জামা, জুতা কিনে দেন। তিনি মেয়েটিকে আদর আপ্যায়নের কমতি করেননি। মেয়েটিকে তার বাবা-মায়ের কাছে পেঁৗছে দেয়ার লক্ষ্যে রাকিব দুপুরে চলে আসেন চাঁদপুর পৌরসভায় মেয়র অ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জুয়েলের কাছে। পৌরসভায় নিজ কক্ষে মেয়র তাঁর পাশের চেয়ারে বসিয়ে রাখেন শিশুটিকে। কিছুক্ষণ পর মেয়র জুয়েল লাকসামের মেয়রকে বিষয়টি জানিয়ে তাঁর হোয়াটস্অ্যাপে মেয়েটির ছবি ও ঠিকানা পাঠান। পরবর্তীতে জিল্লুর রহমান জুয়েলের অনুমতি নিয়ে খাদিজাকে নিয়ে লাকসামের উদ্দেশ্যে রওনা হন রাকিব ও ফয়সাল। লাকসাম যাওয়ার পথে ছোট্ট মেয়েটি ঘুমিয়ে পড়ে রাকিবের কোলে। সন্ধ্যার পর রাকিব ও ফয়সাল পেঁৗছে যায় মেয়েটির বাসায়। খাদিজাকে মায়ের হাতে তুলে দেন।


মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েলের তাৎক্ষণিক উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় এবং ছাত্রলীগ নেতাদের মানবিক কর্মকা-ের ফলে একটি ছোট্ট অবুঝ শিশু তার মায়ের কোলে ফিরে গেলো। এ ঘটনা সমাজের জন্যে দৃষ্টান্তস্বরূপ।