সুন্দরগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
সুন্দরগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ১৫ স্থানে ফাটল ধরায় হুমকির মুখে পড়েছে শ্রীপুর-সুন্দরগঞ্জ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ। গত সাতদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার তিস্তা ও ঘাঘট নদীর পানি এখন বিপদ সীমার ওপর।
পানির নিচে বেলকা, হরিপুর, কাপাশিয়া, শ্রীপুর, চন্ডিপুর, তারাপুর, শান্তিরাম ও কঞ্চিবাড়ী ইউনিয়নের শত শত ঘরবাড়ি। পানি বন্দি হাজার হাজার মানুষ। অনেকেই পরিবার পরিজন, গবাদিপশু নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ ও উঁচু স্থানসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছেন। রয়েছে খাবার, বিশুদ্ধ পানীয় জল ও জ্বালানীর সংকট।
গাইবান্ধা পাউবো সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় তিস্তা নদীর পানি বিপদ সীমার ২২ সেন্টি মিটার ও ঘাঘট নদীর পানি ৫৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাউবো’র এসডি সেলিম হোসেন জানান, হুমকির মুখে পড়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের ভাঙ্গন ঠেকাতে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বেলকা ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিলুল্ল্যাহ্ জানান, তার ইউনিয়নে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ পানিবন্দি। এ পর্যন্ত পাওয়ায় ত্রাণ সামগ্রী পর্যাপ্ত নয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোলেমান আলী জানান, পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধারের ব্যবস্থা না থাকলেও তাদের মধ্যে এ পর্যন্ত ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে সাড়ে তিনশ প্যাকেট শুকনা খাবার ও ৭০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। আরও একশ মেট্রিক টন চালের জরুরি বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।