মই লাগিয়ে ট্রেনের ছাদে, ভাড়া ১০ টাকা
ঈদের ছুটি শেষে মফস্বলের বাসিন্দারা আবারও ফিরতে শুরু করেছেন রাজধানীসহ বিভিন্ন বড় শহরে। শুক্রবার ঈশ্বরদী, ঈশ্বরদী বাইপাস, আব্দুলপুরসহ কয়েকটি স্টেশনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদের ছুটির আট দিন পরও সব ট্রেনে এখনও উপচে পড়া ভিড়। কোনো কাউন্টারেই টিকিট মিলছে না সহজে। ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে অপেক্ষমাণ ঢাকাগামী বিভিন্ন ট্রেনের যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদের ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফিরছেন তারা। ট্রেনের দরজা দিয়ে কামরায় উঠতে না পেরে এবং ট্রেনে জায়গা না পেয়ে যাত্রীরা মই দিয়ে ট্রেনের ছাদে উঠে বসতে বাধ্য হচ্ছেন। আবার এই সুযোগে স্থানীয় কিছু লোক মই ভাড়ার ব্যবস্থা করে রীতিমতো ব্যবসা ফেঁদে বসেছেন।
একটি মইয়ের মালিক মনিরুল ইসলাম জানান, স্টেশনে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখে তাদের সহযোগিতা করতে তারা মই এনে এভাবে ট্রেনে উঠতে সাহায্য করছেন। ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার তার নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, এভাবে মই লাগিয়ে ট্রেনের ছাদে ওঠার ব্যবস্থা অনুমোদিত নয়, তার পরও তাদের নিষেধ করা হয়েছে। তারা সবাই স্থানীয় লোকজন, তাদের নিষেধ করলেও ঝামেলায় পড়তে হয়।
মই দিয়ে ট্রেনের ছাদে ওঠা যাত্রী পাকশীর যুক্তিতলা গ্রামের মাবিয়া খাতুন (৩৮) জানান, তিনি গার্মেন্টে চাকরি করেন। ঈদের ছুটি শেষে যেভাবেই হোক তাকে আজই ঢাকা ফিরতে হবে। তাই বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি আছে জেনেও ট্রেনের ছাদে উঠে ঢাকা রওনা হয়েছেন।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে পরিবহন পরিদর্শক (টিআই) একেএম নুরুল আলম বলেন, আমি দেখিনি, তবে শুনেছি আব্দুলপুরসহ দু-একটি রেলস্টেশনে মই লাগিয়ে কে বা কারা ট্রেনের ছাদে ওঠার বিকল্প ব্যবস্থা করেছিলেন। তবে স্টেশনের দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মচারীদের নিষেধ করে দিয়েছি মই নিয়ে যেন কেউ স্টেশনে আসতে না পারে।