সীমা ছাড়িয়েছে পরিবহন মালিকদের লোভ
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পরিবহন শ্রমিকরা বাড়ি ফেরা যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করায় চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘সড়কে ও পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা নেই। এটা ফিরিয়ে আনাই আমাদের সরকারের চ্যালেঞ্জ। যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় হচ্ছে। জনগণ ভুক্তভোগী। আমরা এটার প্রতিকার করব। পরিবহন মালিকদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। তাদের লোভের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। আমরা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।’ গতকাল সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা ও চট্টগ্রামে যানজট ও জনজট এখন দুর্বিষহ। ঢাকায় ব্যাপক বিশৃঙ্খলা চলছে। বছরের পর বছর ধরে এটা চলতে পারে না।’ তবে সারা দেশের যোগাযোগব্যবস্থা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা জনগণকে কথা দিয়েছিলাম এবার ঈদযাত্রাকে স্বস্তিদায়ক করব। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে চলেছি। এখন ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে মাত্র চার ঘণ্টায় যাতায়াত করা যায়। এটা আগে কল্পনাও করা যেত না। এটা অবশ্যই আমাদের সাফল্য। তবে যোগাযোগব্যবস্থা ভালো হলেই মানুষের যাত্রা স্বস্তিদায়ক হয় না। পরিবহন সেক্টরেরও শৃঙ্খলা প্রয়োজন।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যতটুকু দেখেছি এবং আমার কাছে যতটা খবর আসে তাতে মনে হচ্ছে, পরিবহন সেক্টরে কোনো শৃঙ্খলা ও নিয়ন্ত্রণ নেই। পরিবহন মালিকরা শুধু ঢাকাতেই নয়, জেলা ও উপজেলা শহরগুলোতেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে।’ ঈদের পর ঢাকা ও চট্টগ্রামের যানজট নিরসনে উদ্যোগ নেওয়া হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঢাকাকে নিয়ে আমাদের একটি পরিকল্পনা আছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মরহুম মেয়র আনিসুল হক এ বিষয়ে একটি কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি কিছুটা সফলও হয়েছিলেন। ঈদের পর আমরা ঢাকা মহানগরের সড়ক শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলোকে নিয়ে বৈঠকে বসব।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সিঙ্গাপুর, টোকিওসহ উন্নত রাষ্ট্রের শহরগুলোর সড়কে আমাদের চেয়েও বেশি গাড়ি চলে। তবে সেখানে শৃঙ্খলা ও নিয়ন্ত্রণ থাকায় কোনো ধরনের যানজট তৈরি হয় না। যত বিশৃঙ্খলা আমাদের ঢাকা শহরে। যানজটমুক্ত নগরী গড়তে আমাদের রাস্তাঘাটের উন্নয়নের পাশাপাশি সড়ক ও যানবাহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে।বাংলাদেশ প্রতিদিন