• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ঘূর্ণিঝড় ফনির প্রভাবে উত্তাল বঙ্গোপসাগর

প্রকাশ:  ২৮ এপ্রিল ২০১৯, ১৯:৩০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ফনি। এর প্রভাবে ইতিমধ্যে বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণাংশ উত্তাল হতে শুরু করেছে। এ অবস্থায়ও দেশে গরম কমেনি। শনিবারও দেশের কয়েকটি অঞ্চলে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যায়।আবহাওয়াবিদরা জানান, ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন নিরক্ষীয় ভারত মহাসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এর আগে লঘুচাপ আকারে এটির উৎপত্তি ঘটে। অবিশ্বাস্য গতিতে তা সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিুচাপ ও গভীর নিুচাপে পরিণত হয়। এখন পর্যন্ত এর গতিপথ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশমুখী। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা।

বাংলাদেশ আবহাওয়া বিভাগ (বিএমডি) বলেছে, সাগর উত্তাল হতে শুরু করায় দেশের চার সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বুয়েটের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ড. একেএম সাইফুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, আসলে ২৪ ঘণ্টার আগে বলা সম্ভব নয় ঝড়টি কোনদিকে যেতে পারে। তবে বিদ্যমান গতিবিধিতে মনে হচ্ছে, এটি আগামী ৫ বা ৬ মে নাগাদ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। আমরা বিপদমুক্ত কিনা, তা বলার সময় এখনও হয়নি।
এদিকে সাগরে গভীর নিুচাপের পরও গরমের প্রভাব তেমন একটা কমেনি। এ মৌসুমে ব্যারোমিটারে পাওয়া পরিমাপের চেয়ে গরমের অনুভূতি বেশি হয়। এদিন ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল খুলনা ও যশোরে ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বিএমডির আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কমবে। যখন ঘূর্ণিঝড় উপকূলের কাছাকাছি চলে আসবে তখন সাগরের পাশাপাশি স্থলভাগের আবহাওয়া পরিস্থিতি অস্থির হয়ে উঠবে। তিনি জানান, অল্প সময়ের ব্যবধানে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের নিুচাপটি গভীর নিুচাপ এবং সেখান থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এ ধরনের ঝড় সাগরে যত বেশি সময় অবস্থান করে, ততো শক্তি সঞ্চয়ের সুযোগ পায়।বিএমডির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ফনি শনিবার বিকাল ৩টার দিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৯৩৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে ১৮৫৫, মোংলা থেকে ১৯৩৫ ও পায়রা সমুদ্র্রবন্দর থেকে ১৮৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের দিতে অগ্রসর হতে পারে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা ও ঝড়োহাওয়া আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে। এ কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌযানগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।যুগান্তর

সর্বাধিক পঠিত