টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী’ নিহত
কক্সবাজারের টেকনাফে মেরিন ড্রাইভ সড়কে পুলিশ ও মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জিয়াউর রহমান জিয়া (৩৮) নামের এক ‘শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী’ নিহত হয়েছে। শনিবার রাত দেড়টার দিকে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের নোয়াখালী পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের ভাষ্য, এর আগে শুক্রবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে জিয়াকে আটক করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত জিয়া টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজির পাড়া মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে ১২টিসহ ২১টি মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। তারা হলেন- এসআই শরীফুল ইসলাম (৩৫), কনস্টেবল চটন দাস (২৩) ও মেহেদী হাসান (২১)।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবারে টুঙ্গিপাড়া থেকে পুলিশ জিয়াকে আটক করে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারে অভিযানে গেলে একদল মাদক ব্যবসায়ী পুলিশকে লক্ষ্যে করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পিছু হটে। এরপর সেখান থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জিয়াকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়।
জরুরী বিভাগের চিকিৎসক প্রণয় রুদ্র বলেন, পুলিশ গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তিকে নিয়ে এলে কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়। তার বুকে তিনটি গুলি লেগেছিল। আহত তিন পুলিশ সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, জিয়া একজন শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী ছিল। তার বিরুদ্ধে ২১টি মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র, ২৩ রাউন্ড গুলি ও ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে নিহত জিয়ার মামা নূর কামাল বলেন, জিয়াউর রহমান অনেক দিন ধরে তাবলিগ জামাতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ছিলেন। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে সেখান থেকে তিনি নিখোঁজ হন। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর জানতে পারি, সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন তাকে তুলে নিয়ে গেছে।
সূত্র : সমকাল