তিতলি মোকাবিলায় প্রস্তুতি
১৯ জেলার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল
ঘূর্ণিঝড় তিতলি মোকাবিলার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে উপকূলীয় ১৯ জেলার সরকারি সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাসে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় তিতলি আজ সকালে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ ও ওডিশা রাজ্যের সমুদ্র উপকূলে আছড়ে পড়েছে। তিতলি এখন যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র উপকূলের দিকে।
আজকের সংবাদ সম্মেলনেও মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীও জানান, ঘূর্ণিঝড় তিতলি আজ ভোররাতে ভারতের ওডিশা ও অন্ধ্র উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে। তারপরও তাঁদের প্রস্তুতি অব্যাহত থাকবে।
ত্রাণমন্ত্রী বলেন, ‘ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় প্রশাসনকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুতও রাখা হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্য থেকে ২৫ হাজার পরিবারকে ভাসানচরে নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রথম দফায় এক লাখ রোহিঙ্গাকে সেখানে নেওয়া হবে। তবে সেটা অস্থায়ী। তাঁরা আশা করছেন, মিয়ানমার সরকার খুব শিগগির তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নেবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. শাহ কামাল, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের ডিজি (অপারেশন অ্যান্ড প্ল্যান) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এজাজুল বারী চৌধুরী।
সূত্র : প্রথম আলো।