• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

গৃহবধূকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশ:  ১১ অক্টোবর ২০১৭, ২১:২৮
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রিন্ট

যৌতুকের দাবী পূরণ না হওয়ায় স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন গৃহবন্ধী করে নির্যাতনের পর হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টার করছে এমন অভিযোগ করেছে গৃহবধূর পরিবার।

ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বিকেলে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার আউলটিয়া গ্রামে।

জানা যায়, গত দেড় বছর আগে উপজেলার আউলটিয়া গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে মাসুদের সাথে একই উপজেলার ধানগড়া গ্রামের আ. হালিমের মেয়ে হালিমাতুজ সাদিয়া (রিক্তা)’র বিবাহ হয়। তাদের ঘরে ৩ মাসের কন্যা শিশু রয়েছে।

বিয়ের পর থেকে অর্থলোভী স্বামী মাসুদ ও তার পরিবার যৌতুক দাবী করে বিভিন্ন ভাবে রিক্তার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। মেয়ের সুখের কথা ভেবে রিক্তার বাবা বিগত ৬/৭ মাস আগে স্থানীয় মাতব্বর শাজাহান, লতিফ ও মজনু মিয়ার উপস্থিতিতে মেয়ের জামাই ও তার মা, নানা-নানী’র সামনে ইজ্জত আলীর হাতে নগদ ২ লক্ষ টাকা তুলে দেন। 

অর্থলোভী মাসুদের পরিবার আবারও যৌতুকের টাকার চাপদিলে গত ৬ অক্টোবর টাকা দিতে অস্বীকার করায় গৃহবন্ধী করে রাখা হয় রিক্তাকে। এসময় তাকে কোন কিছু খেতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ তার পরিবারের।

তারা আরো অভিযোগ করে, এতেও ক্ষান্ত হয়নি স্বামী মাসুদের পরিবার। গত ৯ অক্টোবর রাতে শ্বাশুড়ী মমিনা খাতুন ও নানা শ্বশুড় নুরু মিয়া শারিরিক ভাবে নির্যাতন করে রিক্তাকে। ঘটনার দিন ১০ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে শ্বাশুড়ীসহ অন্যান্যরা গৃহবধু রিক্তাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করে।

গৃহবধূর রিক্তার বাবা আ. হালিম জানান, জনৈক্য আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নব নেতার মাধ্যমে পুলিশ মোটা অংকের সুবিধায় প্রভাবিত হয়ে হত্যা মামলা নেয়নি। আমার মেয়ে কখনই আত্মহত্যা করতে পারে না। আমার মেয়েকে ষড়যন্ত্র করে হত্যা করেছে। তিনি আদালতে মামলা করবেন বলেও জানান।

কালিহাতী থানার অফিসার ইনর্চাজ মীর মোশারফ হোসেন জানান, আমরা পড়েছি ফাঁটাকলে। মেয়ের বাবাও পুলিশ, স্বামীও পুলিশ। প্রাথমিক অবস্থায় জানতে পেরেছি আত্মহত্যা কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্টের আগে কিছুই বলা যাচ্ছে না।

সর্বাধিক পঠিত