মৌলভীবাজারে কিশোরীকে মুখ বেঁধে ধর্ষণ
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের কিশোরী (১৬) ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটলেও একটি প্রভাবশালী মহল বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। পরে বৃহষ্পতিবার দুপুরে এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে কমলগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ধর্ষিতার ডাক্তারী পরীক্ষা মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে সম্পন্ন হয়।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শমশেরনগর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের কলোনীতে হামিদ মিয়ার কিশোরী মেয়ে (১৬) বসবাস করে। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে একই কলোনীর বাসিন্দা আবুল মিয়ার ছেলে বখাটে সৌরভ মিয়া (২১) কিশোরীকে একা পেয়ে মুখ বেঁধে একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ধর্ষিতার আর্তচিৎকারে কলোনীর বাসিন্দারা ছুটে আসলে ধর্ষক দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে ওই কিশোরীকে পরিবারের সদস্য ও আশপাশের লোকজন এসে উদ্ধার করে কমলগঞ্জ থানায় নিয়ে যান। ধর্ষিতার মা রেজিয়া বেগম জানান, ঘটনার পর একটি প্রভাবশালী মহল বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদ দ্রুত এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য ধর্ষিতার পরিবারকে অনুরোধ জানান। একটি প্রভাবশালী মহল বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে মামলা না করতে ধর্ষিতার পরিবারকে ম্যানেজ করার চেষ্টা চালায়। এ নিয়ে কমলগঞ্জ থানায় রাতভর নাটক চলে। পরে বৃহষ্পতিবার এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা রেজিয়া বেগম বাদী হয়ে সৌরভ মিয়াকে একমাত্র আসামি করে কমলগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা (নং ০৪, তারিখ: ০৫/১০/২০১৭ইং) দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কমলগঞ্জ থানার শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সায়েম মো: আব্দুর রহমান জানান, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মৌলভীবাজার পরীক্ষা মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ধর্ষিতার ডাক্তারী পরীক্ষা বৃহষ্পতিবার সম্পন্ন হয়। পুলিশ আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
শমশেরগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. জুয়েল আহমদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ন্যাক্কারজনক এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) নজরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় ধর্ষণ মামলা হয়েছে। ধর্ষিতার মেডিকেল করানো হয়েছে। পুলিশ আসামিকে গ্রেফতারে কাজ করছে।