• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

সুন্দরী প্রতিযোগিতায় ৩৬-২৪-৩৬ নিয়ে কোন বাঁধা-ধরা নিয়ম নেই

প্রকাশ:  ০৭ অক্টোবর ২০১৭, ২০:৫৫
মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি
প্রিন্ট

কোন সুন্দরী প্রতিযোগিতায় মেয়েদের ৩৬-২৪-৩৬ হতে হবে এমন কোন বাঁধা-ধরা নিয়ম নেই। একজন মেয়ে/মহিলা যখন নিজের শরীর বা স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকেন তখন স্বাভাবিকভাবেই তার খাওয়া-দাওয়া ঠিক রাখেন ও ব্যায়ামও করেন।

যা করলে অটোমেটিকভাবেই শরীর থেকে চর্বি কমে, শরীরের একটা গঠন দেয় আর ব্যায়াম শরীরের energy and strength বাড়ায় এবং শরীর অটোমেটিক toned হয়ে যায়। এটি নিজের প্রতি এক ধরনের সম্মান, সুস্থতাই সুন্দর বা সৌন্দর্য। না খেয়ে শুকালে ঐ শরীর কখনই toned হবে না এবং কাজ করার শক্তি ও মনোবল থাকে না।

আরেকটা বিষয়, আমরা যদি হলিউড এর এঞ্জেলিনা জুলি, নিকোল কিডম্যান, কেইট উন্সলেটের পুরো শরীর মুভিতে দেখতে পারি, পপ স্টারদের দেখতে পারি স্টেজ কাপাচ্ছেন আবেদনময়ী শরীরে, নাচ আর অল্প কাপড় দিয়ে যেমন রিহানা, জেনিফার লোফেজ, ম্যাডনা, ক্রিস্তিয়ানা প্রমুখ। আর সাথে বলিউড তো আছেই, সবাইকে টু-পিস কাপড়ে পুরো শরীর দেখছেন এবং তারাই আপনাদের প্রিয় নায়িকা, প্রিয় সিঙ্গার। তাদের কে কি শুধু উনাদের ট্যালেন্ট দিয়ে যাচাই করেন, শরীর কি যুক্ত করেন না? ঐ সময় যদি নারী অবমাননা না হয় তাহলে শুধু সুন্দরী প্রতিযোগিতায় শুধু নারীদের অবমাননা কেন হয়, একটু দয়া করে বলবেন। যদি অবমাননা ই হয় তাহলে এঞ্জেলিনা থেকে ক্যাটরিনা পর্যন্ত বোরখা পরে অভিনয় করা উচিত, আমাদের entertain দেয়া উচিত।

যারা অবমাননা বলে কথা বলছেন, তারা কি জানেন, একজন প্রতিযোগী ঐ স্টেজ থেকে মুকুট/জয়ী হওয়া ছাড়াও আর সাথে কি নিয়ে আসেন? আপনারা কি ঐ স্টেজে হেঁটে দেখেছেন (কাপড় ছাড়া নয়, কাপড় সহই বলছি) ?? 

যারা অসৎ তারা বরাবরই অসৎ থাকবে, একটা না হলে আরেকটা অসৎ উপায় খুঁজবে, অবলম্বন করবে কিন্তু অসৎ এর সাথেও শক্ত আরেকটি টার্ম আছে তাহলো সৎ থাকা, সৎ চিন্তা করা।

বাহ্যিক সৌন্দর্য দিয়ে সুন্দরী হওয়া বা প্রতিযোগিতায় জয়ী হওয়া বহু বছর আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে, তাহলে মিস নাইজেরিয়া ২০০১ সালে মিস ওয়ার্ল্ড হতেন না।

আপনার জানতে হবে, বহিঃর্বিশ্বতে মডেলিং ওয়ার্ল্ড আর সুন্দরী প্রতিযোগিতা দুইটা আলাদা পৃথিবী। সুন্দরী প্রতিযোগিতাগুলো বেশীরভাগই নারী দ্বারা পরিচালিত, যেখানে হইতে মডেলিং জগত একটু উল্টো। তাদের বিচার ভঙ্গি ও আলাদা।

এখন কোন মেয়ে যদি তার শারীরিক গঠন নিয়ে আত্মবিশ্বাসী না থাকে তখনই প্লাস্টিক সার্জারি, ব্রেসট ইমপ্ল্যান্ট ইত্যাদি ইত্যাদি করে থাকে, সেইটা সম্পূর্ণ তার নিজের ব্যাপার কিন্তু কোন প্যাজেনট তা করতে বলেনা বা উৎসাহ দেয় না বরং ন্যাচারাল সৌন্দর্যকে প্রাধান্য বেশী দেয়।

আপনাদের জানতে হবে, জানা দরকার। বিশেষ করে যারা লিখেন বা যাদের লেখা ছাপা হয়। কেননা, ঐ একটি লেখা আরও কয়েকজন মানুষকে প্রভাব ফেলে। প্রভাব ফেলার আগে জানা উচিত আমি যা জানি তা সঠিক জানছি কিনা।

সর্বাধিক পঠিত