কালের আয়নায়: পর্ব ৭ ॥ পীর হাবিবুর রহমান
বিআরটিসির বাস ছুটে চললো সাত সকালে সুনামগঞ্জের দিকে। ফুলবাড়িয়া থেকে সুনামগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড। পথে পথে তখন অনেক ফেরি। মেঘনায় ভৈরব ফেরি, সিলেট যাওয়ার আগে শেরপুরসহ তিন-চারটে ফেরি। সিলেটের পর সুনামগঞ্জ যেতে লামাকাজী, ডাবর, আহসানমারাতো ছিলোই। প্রতিবছর আহছানমারা ফেরিতে বাসডুবির ঘটনায় যাত্রীদের প্রাণহানি নিয়ে অনেক মিথ ছিল। যেন এখানে ভৌতিক ব্যাপার স্যাপার রয়ে গেছে।
যাক পথে যেতে যেতে বাক্ষ্মণবাড়িয়ায় মিতালি রেস্টুরেন্টে ঝাল চিকেন, গরম ভাত, ডাল দিয়ে তৃপ্তিভরে খেয়ে নিলাম। বাস থামলেই হোটল বয়দের হাঁকডাক এখনো অনেক জায়গায় রয়েছে। সেই সময় এসব রেস্টুরেন্টের সাইনবোর্ডে রেস্তোরার নামের পাশে তরতাজা খাসি ও মোরগের ছবি শোভা পেত। কোথাও বা মাছের ছবি। আমার পাশে যে অগ্রজ তরুণী উঠেছিলেন নানান গল্পে গল্পে বাস চলতে থাকে। দিনটিও ফুরিয়ে যেতে থাকে। তখন বর্ষা ও বৃষ্টির আগমনী গান, নদীতে বাড়ছে পানি, গোধুলীলগ্নে লামাকাজী ফেরিতে আমরা যখন পৌঁছলাম, তখন ফেরি চলাচল প্রায় বন্ধ।
আমি রোজা না থাকলেও অগ্রজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বড় বোনটি রোজা রেখেছিলেন। লামাকাজী ফেরিতেই দেখা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ইশতিয়াক আহমদ রুপু ও অকাল প্রয়াত তিনবারের নির্বাচিত মেয়র কবি মমিনুর মউজদীন। মউজদীনের বন্ধু ও ইশতিয়াক রুপুর বড় ভাইকে সিলেট বিমানবন্দর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে বিদায় জানিয়ে তারা ফিরছিলেন। কিন্তু পরদিন ঈদ, অন্যদিকে নদীর পানি বেড়েছে। ফেরি চলাচল বন্ধ। বিআরটিসির বাস সুনামগঞ্জে আর যাবে না।
বিড়ম্বনার মুখে ভেঙে ভেঙে অবশেষে আমরা ডাবর ফেরি পার হয়ে গাগলা ডাক বাংলোয় উপস্থিত হলাম। এখানেই সবার আশ্রয়। যে অগ্রজ তরুণী আমার ওপর নির্ভর করেছিলেন, তিনি স্বস্তিতেই ছিলেন। পথের গল্পে পরিচয় বেরিয়ে যায়। উনার ছোটভাই মাসুদ আমাদের বন্ধু। সবার ছোট শিবলী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার অনুজ ছিল পরবর্তীতে। উনার বাবা সুনামগঞ্জের জেলা ভেটনারি প্রধান চিকিৎসক ছিলেন। উনার আব্বা-আম্মা অতিথিপরায়ণ ছিলেন। সিলেটে চলে যাবার পরেও খালাম্মার আথিতেয়তা ভুলার মতো ছিল না। মাসুদ এইচএসসির পর বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আমারও এ পরিবারের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে।
পরবর্তীতে এরশাদ জামানার শেষের দিকে ছাত্রলীগের হয়ে রাকসু নির্বাচন করতে গিয়ে জোহা হলের কক্ষ থেকে একটি সুদর্শন মিষ্টি ছেলে বেরিয়ে আসে, সেই শিবলী। সে নিজ থেকেই পরিচয় দিয়ে এই দিনের ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। হয়তো বা বড় হয়ে সে এই গল্প শুনেছিল। কারণ তখন মোবাইল তো নয়ই টেলিফোন যোগাযোগও ছিল সীমিত ও বেহাল দশা। আমার পাশে থাকা অগ্রজ তরুণীটির নাম মাহমুদা পারভীন। তখনই কাজী রোজীর সঙ্গে তার যৌথ কাব্যগ্রন্থ বেরিয়েছে। গল্পে গল্পে তিনি জানিয়েছিলেন, তাবলীগ, বিশ্ব ইজতেমায় তার বিয়ে হবে বা হয়েছে। বর আর কেউ নন, আজকের প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ।
কয়েক বছর আগে পারিবারিকভাবে একটি বিয়েতে আমরা এক টেবিলে বসেছিলাম। সেই কবি মাহমুদা পারভীন একদম আটপৌঢ়ে সাদামাটা, ধর্মপ্রাণ মুসলিম গৃহবধু। বিয়ের আসর থেকে বের হবার পর আমার মনে হচ্ছিল চেনা চেনা লাগছে। অধ্যাপক আবদুল্লাহ আমার একজন শ্রদ্ধাভাজন মানুষ। তার সঙ্গে গল্পে গল্পে জেনেছিলাম, মাহমুদা আপাই তার স্ত্রী। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই তারা মানবিক, ভালো মানুষ।
সুনামগঞ্জে ফেরার কালে সেই বিলম্বিত রাতটি আমাদের পাগলা ডাক-বাংলোতেই না ঘুমিয়ে কাটাতে হয়েছে। স্থানীয় একজন আওয়ামী লীগ কর্মী আমাদের সবাইকে রাতের খাবার ডাক বাংলোর পাশেই তার বাড়িতে নিয়ে খাইয়ে ছিলেন। কবি মমিনুল মউজদীনের সঙ্গে তার পরিচয় করিয়ে দিলে দুজনেই সাহিত্য ও কবিতার ওপর অনেকক্ষণ গল্প করছিলেন। আমরা ছিলাম মুগ্ধ শ্রোতা। পরদিন ভোরেই কতটা পথ বাসে, কতটা বেবি ট্যাক্সিতে ও খানিকটা রিক্সায় চড়ে আমরা বাড়িতে পৌঁছলাম। বাসস্ট্যান্ডেই ছিল তাদের সরকারি কোয়ার্টার। সেখানে পৌঁছে দিতেই তার বাবা-মায়ের উদ্বেগ, উৎকণ্ঠার অবসান ঘটলো।
আমি যখন বাসায় ফিরলাম, বাবা-ভাইয়েরা ঈদের জামাতে। আমার আর ঈদের নামাজ পড়া হলো না। খেয়ে ধেয়ে লম্বা ঘুম দিলাম। আমাদের বাড়ির ট্যাডিশন হলো বংশপরম্পরায় ঈদের জামাত থেকে এসে সবাই একসঙ্গে খাবার খাবো। খাবার মেনুতে কোরমা, পোলাও থাকবেই। সেটি খেয়ে যার যার মতো বেরিয়ে পরা। ছেলেবেলা থেকেই আমাদের পরিবারের বড়দের তো বটেই পাড়া প্রতিবেশি ও আত্নীয়-মুরব্বিদের সালাম করে আসা। শহরের বাসা থেকে এখন ১০-১৫ মিনিটের রাস্তা গ্রামের বাড়ি। গ্রামের বাড়িতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুলটির জায়গা আমাদের পূর্বসূরীরা দিয়েছিলেন। বাড়িতে প্রবেশের মুখে ডানের প্রাচীণ মসজিদটিও আমার বাপ-চাচারা নির্মাণ করিয়েছিলেন।
মসজিদের সামনে খেতের বায়ে গাছ গাছালি ও বাঁশ ঝাড়ের ছায়ায় আমাদের পারিবারিক কবরস্থান। এইখানে আমার মা-বাবা, দাদা-দাদীসহ অসংখ্য পূর্বপুরুষ চিরন্দ্রিায় শায়িত। আমি জানি আমারও শেষ ঠিকানা এখানেই। সুনামগঞ্জে ঈদ মানেই কবর জিয়ারতের জন্য হলেও মসজিদ থেকে বেরিয়েই এখানে থামতে হয়। এখানে গেলেই কবি নজরুলের সেই অমর ‘মসজিদেরও পাশে আমায় কবরও দিও ভাই’ কানে বাজে।
সুরমা নদীর পাড়ে আমার বড় খালা ও চাচার বাসা ছিল। সেটি আমাদের বাসা কেনার অনেক আগেই। একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারই নয়; আধ্যাত্নিক পরিবারেই আমার জন্ম হয়েছে। আমার বাবা-মাকে ছোটবেলা থেকে কখনো নামাজ কাজা হতে দেখিনি এবং নিয়মিত কোরআন তেলওয়াতে ছন্দপতন হতে দেখিনি। আমার মা অনেক দোয়া জানতেন। আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে ইবাদত বন্দেগীতেই নিরাবরণ, সাদামাটা, সৎ জীবন-যাপন করে গেছেন বাবা-মা।
আট ভাই-বোনের সংসারে টানাপোড়েন থাকলেও, অনেক ছোট ছোট না পাওয়ার বেদনা থাকলেও প্রাণ-প্রাচুর্য্যে সুখময় ছিল আমাদের বাসাটি। আত্নমর্যাদা ও আভিজাত্য হারাতে শেখাননি যেমন তেমনি মানুষকে ভালোবাসার এবং একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার পাঠ পরিবার থেকেই আমাদের দেয়া হয়েছিল। বিত্তের প্রাচুর্য্য নাই থাক, চিত্তের প্রাচর্য্য কখনোই হারাতে দেননি। জোছনা রাতে পাড়ার মাসীমাদের নিয়ে মা যেমন বাড়ির উঠোনে হাতে বোনা শীতল পাটি বিছিয়ে পানের বাটা নিয়ে গল্পের আসরে বসতেন, তেমননি পাড়ার দিদিদের সঙ্গে বড় বোনদের বন্ধুত্ব ছিল গভীর। আর আমাদের বন্ধুত্ব সে তো জন্মের পর থেকেই বেড়ে উঠেছিল। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই বন্ধন পরবর্তীতে আমরা নিজের জীবনে গোটা শহরজুড়েই নয়, দেশজুড়েই বিস্তৃত করেছিলাম।
একাত্তরের পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর আক্রমণের মুখে প্রথমে পায়ে হেঁটে বাড়িতে যখন উঠতে গেলাম তখন এখনো মনে পরে, সেই সন্ধ্যাবেলায় মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, তৎকালীন জাতীয় পরিষদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুদর্শন দেওয়ান ওবায়দুর রেজাকে হাফশার্ট, লুঙ্গি পরিহিত অবস্থায় মাইজবাড়ি গ্রামে নদী তীরে তার রাজনৈতিক সহকর্মী সৈয়দ দিলওয়ার হোসেনকে নিয়ে উৎকণ্ঠিত অবস্থায় পায়চারি করতে দেখেছি। সেখান থেকে পরিস্থিতি আরো কঠিন হয়ে গেলে আমাদের আরো দূরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিকট আত্নীয়র বাড়িতে গিয়ে উঠলাম।
সেইদিন হাঁটতে হাঁটতে বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে আমার পা চলছিলো না। বিকেলবেলা আমাদের কৃষি জমি বর্গাতে যারা চাষ করতেন সেই গৃহস্থ বাড়িতে উঠলাম। বাড়ির গুরুর খাঁটি দুধ আর চিড়া-মুড়ি খাইয়েছিলেন তারা। হিন্দু গৃহস্থ পরিবারটি ছিল বংশ পরম্পরায় আমাদের অতি আপন। সেই খাবার আমি আজো ভুলতে পারিনি। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস সেই আত্নীয়দের বাড়িতে আমরা টিকতে পারিনি। আমাদের একজন চাচাতো ভাই যিনি সেই মাতুতালয়ে ঘর জামাই হিসাবে ছিলেন, পরবর্তীতে তিনি ও তার পরিবার আমাদের পরিবার থেকে অনেক স্নেহ-মমতা এবং সাহায্য সহযোগিতা পেলেও দুঃসময়ে তার তীর্যক কথাবার্তা আমার বুকের গভীরে যেভাবে রক্তক্ষরণ ঘটিয়েছিল তা কোনোদিন ভুলতে পরিনি। আমার মা-বাবার চেয়ে তিনি কোনো অংশে ধার্মিক ও ভালো মানুষ ছিলেন না। কিন্তু আমরা মাকে মা ও বাবাকে বাবা বলে ডাকছি বলে তিনি জানতে চেয়েছিলেন, আমরা হিন্দু কিনা? মা, বাবা বলে ডাকছি কেন? সেই শিশু মনে এ নিয়ে তিনি দিনের পর দিন মানসিক পীড়ন দিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধজয়ের দিনগুলো নিয়ে পরবর্তীতে যতটা পারি স্মৃতির ঝাঁপি হাতরে লেখার ইচ্ছে রয়েছে।
যাক, ঈদের দিন লম্বা ঘুম থেকে উঠে বিকালে বের হয়ে তুহিনদের বাসায় গেলাম। তুহিনদের কাছেই হোসেনদের বাসা। তখন হোসেনদের বাড়ির সামনে বিস্তৃীর্ণ খোলা হাওর থেকে ধুঁ ধুঁ বাতাসই এসে গা জুড়িয়ে দিত না, বর্ষায় বারান্দায় বসলে অথৈই জলরাশি ও তার ঢেউ মুগ্ধ করে দিত। সুনামগঞ্জ কলেজে ভর্তি হওয়া নানা নাটকীয়তায় ভরপুর, ছাত্র রাজনীতিতে ফুলটাইম কর্মী হয়ে উঠা, এইচএসসি পাস করার পর শান্তি নিকেতনের মতো ছায়া সুশীতল, মনোরম, কাব্যিক ক্যাম্পাস রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটানো যৌবনের সোনালী ৭টি বছর স্মৃতির এ্যালবাম থেকে পরে নিয়ে আসবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া আসার কালে ঢাকায় সপ্তাহ খানেকে বিরতি দিতাম। রাজনীতিবিদদের সঙ্গে যোগাযোগই নয়, মধুর ক্যান্টিনে নিয়মিত যাওয়া, সন্ধ্যার পর দলীয় কার্যালয়ে গমন রুটিনে দাঁড়িয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার জন্য যখন বাড়ি থেকে দলবেধে বের হলাম, তখন একটি মজার ঘটনা ঘটেছিল। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়, সেটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলের এক্সটেনশন ভবনে। নিউমার্কেট পার হয়ে সেই এক্সটেনশন ভবনের ২১০ নম্বর কক্ষে অগ্রজ কবি মাহমুদা পারভীন থাকতেন বলে দু’বছর আগে যে ঠিকানা দিয়েছিলেন সেটি আমার মনে ছিল। তখনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হইনি, তখনো জানিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলের বাইরে দাঁড়িয়ে ভেতরে যাওয়া কোনো বোনের কাছে স্লিপ দিয়ে কল দিতে হয়, কার সঙ্গে দেখা করতে চাইছি।
একদিন দুপুরবেলা শামসুন্নাহার হলের এক্সটেনশন বিল্ডিংয়ের ভিতরে আমি সোজা প্রবেশ করে বসি। দৃঢ় পায়ে দোতলার ২১০ নম্বর রুমের সামনে এসে দাঁড়াই। আমার দিকে ভেতরে চৌকিতে বসা এক অনিন্দ্য সুন্দরী তরুণী মুখভর্তি হাসি ছড়িয়ে প্রশ্ন করলেন, আপনি? চোখেমুখে তার হাসির সঙ্গে অপার বিস্ময়। আমি সহজ-স্বাভাবিকভাবে বললাম, মাহমুদা আপা নেই? সেই তরুণী বিনয়ের সঙ্গে বললেন, তিনি এখন হলে থাকেন না। বাসায় চলে গেছে। কিন্তু আপনি এখানে কি করে এলেন? আমি আরো স্বাভাবিকভাবে বললাম, কেন? আমি রিক্সা থেকে নেমে উপরে সোজা চলে এলাম। তিনি বললেন, হলের ভিতরে ছেলেদের তো প্রবেশ নিষেধ। গেটে আপনাকে কেউ আটকায়নি? কিছু বলেনি! আপনি তারাতারি যান।
ভ্যাবাচেকা খেয়ে আমি যখন নেমে আসলাম তখন একজন বয়স্ক গেটের দারোয়ান ভয়ার্তভাবে আমার দিকে তাকিয়ে বললো, আরে ভাই আপনি কোথা থেকে আসছেন? বললাম উপরে গিয়েছিলাম। তিনি বললেন, তারাতারি যান, তারাতারি যান। পরে বুঝলাম, চাকরি যাওয়ার ভয়ে সেই দারোয়ান আমাকে দ্রুত বিদায় দিয়েছে। তবে মাহমুদা আপার জুনিয়র সেই সুন্দরী রুমমেটের মুখটি আমি কোনদিন ভুলতে পারিনি। সেই থেকে আমার বিশ্বাস, সুন্দরী মেয়েদের মুখশ্রীই নয়, মনটাও অনেক সুন্দর হয়। তিনি চাইলে সেদিন আমাকে গণপিটুনী বা পুলিশে সোপর্দ করাতে পারতেন। খবরের শিরোনাম হয়ে আমি সারাদেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসতে পারতাম। তার জন্য আমার হৃদয়নিঃসৃত শুভকামনা।
চলবে...