ত্রিশে জুলাইয়ের নির্বাচনই দেশকে দিকনির্দেশনা দেবে
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, ১০ জুলাই, চাঁদপুর পোষ্ট : ৩০ জুলাই বরিশাল, সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। আওয়ামী লীগ শিবিরে প্রচারণার মহাধুমধাম। কিন্তু বিএনপি শিবিরে সাড়াশব্দ কম। তার কারণ কী? গাজীপুরের পরাজয়ে বিএনপি কি মুষড়ে পড়েছে? রাজশাহীতে প্রায় ২১ বছর মেয়র পদে অধিষ্ঠিত ছিল বিএনপি। তা ছাড়া রাজশাহী বিএনপির দুর্গ বলে পরিচিত। আওয়ামী লীগের প্রার্থী শহীদ কামরুজ্জামানের ছেলে সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের জনপ্রিয়তা থাকলেও বিএনপির প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলেরও জনপ্রিয়তা কম নয়। এ জন্য নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপির পিছিয়ে থাকা এবং দলের নেতাকর্মীদের এখনো তৎপর না হওয়ার কারণ কী, তা নিয়ে মিডিয়ায় জল্পনা চলছে।
একই অবস্থা বরিশালে এবং সিলেটেও। ‘কালের কণ্ঠর’ খবর অনুযায়ী ‘মাঠ গরম আওয়ামী লীগে, বিএনপি এখনো ঘরে।’ তিন সিটিতেই নানা কৌশলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে নেতাকর্মীরা মাঠ চষে ফেলছে। অন্যদিকে বিএনপি বেশ নীরব। বিদ্রোহী প্রার্থী, কোন্দল ও কর্মীরা মামলা-পরোয়ানা মাথায় নিয়ে থাকায় নির্জীব হয়ে রয়েছে দলটি। কালের কণ্ঠ’র এই খবরে নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপির নির্জীব থাকার একটি কারণ জানা গেল।
নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপি যে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, তাতে সন্দেহ নেই। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিএনপির উদ্যোগে গত ৩০ জুন শহরের সিটি কনভেনশন সেন্টারে বুলবুলের সমর্থনে এক জনসমাবেশের আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসন সেখানে অনুমতি না দেওয়ায় এই সভা অনুষ্ঠিত হয় মহানগর বিএনপির দলীয় অফিসে ছোট পরিসরে। এর আগে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ অডিটরিয়ামে রাজশাহী বিএনপির বর্ধিতসভা ডাকা হয়েছিল। কিন্তু ওই দিনই সেখানে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনাসভার আয়োজন করায় বিএনপিকে তাদের সভা সরাতে হয়।
কোনো নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীন দলের এ ধরনের কার্যকলাপ সমর্থনযোগ্য নয়। আখেরে তা ক্ষমতাসীন দলের সুনাম নষ্ট করবে। আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও প্রশাসনের ইশতেহার, প্রচারপত্রে বিরোধীদলীয় প্রার্থীর পরিচয় ও প্রচারণা আগে দেওয়া হয়। রাজশাহীতেও বিরোধী দলের প্রচার-প্রচারণা যাতে নির্বিঘ্নে হয় সে জন্য মিটিং-মিছিল করার ব্যাপারে তাদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। রাজশাহীতেও এটা করা হলে সরকারি দলের উদারতা ও পক্ষপাতিত্বহীনতা প্রমাণিত হবে এবং জনগণের কাছে ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল হবে।
গণতন্ত্রের এই শিষ্টাচার সম্পর্কে একটি গল্প বলি, সত্য গল্প। তখন পাকিস্তান আমল। ১৯৫৪ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে প্রাদেশিক নির্বাচনে হক-ভাসানীর নেতৃত্বে গঠিত যুক্তফ্রন্টের বিরাট জয় হয়। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই কেন্দ্রীয় মুসলিম লীগ সরকার যুক্তফ্রন্টের মধ্যে ভাঙন ধরাতে সক্ষম হয়। যুক্তফ্রন্টে নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। আওয়ামী লীগের আতাউর রহমান খান তাঁর দলের সমর্থনে ফজলুল হকের নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানান। গল্পটি এই সময়ের।
পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক অচলাবস্থা সম্পর্কে আলোচনার জন্য গভর্নর জেনারেল গোলাম মোহাম্মদ যুক্তফ্রন্টের বিবদমান দুই গ্রুপের নেতাদের করাচিতে ডেকে পাঠান। ঢাকার পুরনো তেজগাঁও এয়ারপোর্টে প্লেনে আরোহণের সময় প্রতিদ্বন্দ্বী দুই নেতা হক সাহেব ও আতাউর রহমান পরস্পরের মুখোমুখি হলেন। যাত্রীদের একই সারিতে দুই নেতা। ফজলুল হক ছিলেন আতাউর রহমানের একটু পেছনে। তিনি আতাউর রহমানের প্রায় পিতৃবয়সী নেতা। আতাউর রহমান সসম্মানে হক সাহেবের পেছনে সরে এলেন, বললেন, ‘আপনি আমাদের সকলের অভিভাবক। আপনি আগে বিমানে উঠুন।’ ফজলুল হক সঙ্গে সঙ্গে সহযাত্রীদের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘আপনারা সবাই সাক্ষী রইলেন। আতাউর রহমান আমার নেতৃত্ব মেনে নিয়েছেন।’ আতাউর রহমান খান মুচকি হেসেছেন। জবাব দেননি।
গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে এ ধরনের উদাহরণ বহু আছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এ ধরনের শিষ্টাচার অবশ্য এখন অনুপস্থিত। রাজশাহীর সভাস্থল দুটি আওয়ামী লীগের জন্য আগে বরাদ্দ থাকলেও বিএনপিকে তা ছেড়ে দিলে আওয়ামী লীগ ভালো করত। এতে দলটির জনপ্রিয়তা আরো বাড়ত এবং কেউ এ অভিযোগ তুলতে পারত না যে আওয়ামী লীগ বিরোধী দলের নির্বাচনী প্রচারণা সুষ্ঠুভাবে হতে দিচ্ছে না।
এসব দেখে এ কথা বলা চলে, রাজনীতিতে গণতান্ত্রিক শিষ্টাচার এখন বড় একটা দেখা যায় না। আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করে লাভ নেই। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালে গণতান্ত্রিক শিষ্টাচারকে রাজনীতি থেকে প্রায় ঝেঁটিয়ে বিদায় করেছিল। তাদের বাড়াবাড়ি সীমা অতিক্রম করেছিল। ক্ষমতার লাঠি কী নৃশংসভাবে ঘোরানো যায় তার বহু প্রমাণ তারা রেখে গেছে।
গাজীপুরের সিটি নির্বাচনের পর লন্ডনে বিএনপির এক নেতার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। তিনি ক্রুদ্ধ কণ্ঠে বললেন, ‘আওয়ামী লীগ গুণ্ডামি করে দেশ শাসন করছে এবং নির্বাচনে জিতছে।’ তাঁকে বলেছি, গুণ্ডামি করে দেশ শাসন ও নির্বাচনে জেতার প্রথা তো আপনারাই প্রবর্তন করেছেন। মাগুরার উপনির্বাচনে নির্মম তাণ্ডব, ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থক ও সংখ্যালঘু নির্যাতন, নারীদের গণধর্ষণের ইতিহাস কি ভুলে গেছেন? তাই এখন যদি কেউ বলে, BNP is being paid by its own coin. তাকে দোষ দেওয়া যাবে? যুক্তির খাতিরে এ কথাগুলো বললাম। নইলে এ ইতিহাস তো আওয়ামী লীগের নয়। আপনাদের।
তথাপি বিএনপিকে এ অভিযোগ তোলার সুযোগ দেওয়া উচিত হবে না যে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে গুণ্ডামি ও কারসাজি করে। আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে, দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াইয়েও নেতৃত্ব দিয়েছে। গণতান্ত্রিক শাসনের নজির প্রতিষ্ঠা এবং তা অব্যাহত রাখার নজিরও আওয়ামী লীগকেই প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ৩০ জুলাইয়ের তিনটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যদি এ নজির স্থাপন করতে পারে, তাহলে আগামী সাধারণ নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা সম্পর্কে বিএনপির অভিযোগ তোলার সুযোগ থাকবে না। তাদের বিদেশি মামাদেরও থাকবে না। তবু নির্বাচনে পরাজিত হলে বিএনপি অভিযোগ তুলবেই। জনসাধারণের কাছে তা ধোপে টিকবে না।
সিলেট ও বরিশালেও বিএনপির নির্বাচন কর্মতৎপরতা মন্থর। তবে তাদের প্রার্থীরা সক্রিয়। তবু তাদের প্রার্থীরা যদি নির্বাচনে হারেন, তাহলে হারবেন অন্য কারণে। সিলেটে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরান এবং বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর মধ্যে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলে কে জিতবেন, তা বলা মুশকিল। তা না হওয়ায় বেকায়দায় পড়েছে বিএনপি।
মিত্র দল থেকে যে বিভীষণ বেরিয়ে আসবে, তা তারা হয়তো বুঝতে পারেনি। জামায়াত এখানে প্রার্থী দিয়েছে। অন্যদিকে গোদের ওপর বিষফোড়ার মতো সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিমও মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তাঁরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করলে বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনে সুবিধা করা সম্ভব হবে না। সিলেটে বিএনপির এই সম্ভাব্য পরাজয়ের জন্য আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করে লাভ হবে না।
সিলেট যেমন জামায়াতের, তেমনি বরিশাল বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত। কিন্তু বরিশালেও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও দলাদলির জন্য এ মুহূর্তে বিএনপির প্রার্থীর অবস্থা ভালো নয়। তাঁরা এখনো ভালোভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে পারেননি। বরিশালে মেয়র প্রার্থী বঙ্গবন্ধু পরিবারের সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। এটা তাঁর জন্য প্লাস পয়েন্ট। তাঁর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা জমজমাট। পুরো পরিবার তাঁর পক্ষে প্রচারকাজে নেমেছে। তাঁর মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে বরিশালের আওয়ামী লীগে কোনো মতদ্বৈধতাও নেই।
অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারের মনোনয়ন নিয়ে দলে ঐক্য নেই। তাঁর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণাও এখন পর্যন্ত কোনো গতি পায়নি। স্থানীয় নেতারা তাঁর ওপর বিরক্ত। তাঁরা বলছেন, নির্বাচন কিংবা দলীয় পদ সবখানেই সরোয়ার সর্বেসর্বা। তিনি চান না নতুন নেতৃত্ব তৈরি হোক। এসব কারণে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় তাঁরা এগিয়ে আসছেন না। নানা অজুহাত তুলে দূরে সরে আছেন। দলীয় কর্মীরা আশঙ্কা করে, স্থানীয় নেতারা যদি মজিবর রহমান সরোয়ারের পক্ষে প্রচারণায় নামেনও, দায়সারাভাবে নামবেন।
দেখেশুনে মনে হয়, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মনোভাব এমন হতে পারে, তাঁরা ধরেই নিয়েছেন, গাজীপুরের নির্বাচনে পরাজয়ের পর বরিশাল, সিলেট, রাজশাহীর নির্বাচনেও তাঁরা জয়ী হবেন না অথবা তাঁদের জয়ী হতে দেওয়া হবে না। সুতরাং নির্বাচনী প্রচারণায় শক্তি দেখিয়ে লাভ নেই। অথবা তাঁরা ভাবতে পারেন, তাঁদের প্রার্থীদের জয়ী হতে সাহায্য না জুগিয়ে আওয়ামী লীগকে সহজ বিজয় লাভের সুযোগ দেওয়া এবং আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে যে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না, এই প্রচারণা জোরদার করে আসন্ন সাধারণ নির্বাচন সম্পর্কে তাদের দাবি আদায়ের চেষ্টা করা।
এতে সুবিধা হবে মনে হয় না। অতীতে বিএনপি সরকারের বড় ধরনের হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচনে জিতেছেন। ঢাকার মেয়র পদে মোহাম্মদ হানিফের বিপুল জয় তার প্রমাণ। সাম্প্রতিককালে চারটি সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে নির্বাচনে বিএনপি নিরঙ্কুশ জয়লাভ করেছে। নির্বাচিত হলে বিএনপি আর নির্বাচনে অসাধুতার অভিযোগ তোলে না। জনসমর্থন সঙ্গে থাকলে ছোটখাটো হস্তক্ষেপে নির্বাচনের ফলাফলে ব্যত্যয় ঘটানো যায় না। সুতরাং বর্তমানের তিনটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হলে তারা কারচুপি করে জয়ী হয়েছে—এটা জনসাধারণকে বিশ্বাস করানো যাবে না।
আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হতে পারে না, এই ধুয়া তুলে বিএনপি দেশের অথবা বিশ্বজনমত প্রভাবিত করতে পারবে না। তাদের উচিত গাজীপুরে তারা যেমন লড়েছে, তেমনি এই তিনটি নির্বাচনেও সর্বশক্তি নিয়ে লড়াই করা। ভোটদাতারা অনুকূল থাকলে তাদের প্রার্থী জয়ী হবেন না—এমন কথা কেউ বলতে পারে না। আসন্ন সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানেও বাধা সৃষ্টি না করে তাদের উচিত জনগণের কাছে যাওয়া এবং তাদের সমর্থন লাভের চেষ্টা করা। বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়ে লাভ হবে না। এর প্রমাণ তারা ২০১৪ সালেই পেয়েছে।
আওয়ামী লীগেরও উচিত ৩০ জুলাইয়ের তিনটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচন যাতে বিতর্কমুক্ত থাকে তার সব ধরনের ব্যবস্থা করা। এ ব্যাপারে দলের কিছু অতি উৎসাহী নেতাকর্মী এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীকে সংযত রাখা। গাজীপুরে দেখা গেছে, বিএনপির এক নেতা তাঁদের দলীয় কর্মীদের টেলিফোনে নির্দেশ দিয়েছিলেন, ছাত্র লীগের জার্সি পরে এবং ছাত্রলীগার সেজে ভোটকেন্দ্রে হাঙ্গামা বাধাতে। এতে নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের হস্তক্ষেপ প্রমাণ করা যেত। কিন্তু এই চক্রান্ত সফল হয়নি। ভবিষ্যতেও যাতে এ ঘটনা না ঘটে সে জন্য আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে সতর্ক থাকতে হবে এবং নিজেদের সংযত রাখতে হবে।
আমার এখনো বিশ্বাস, বিএনপি নিজেদের দুর্বলতার কথা জানে। এই দুর্বলতা ঝেড়ে ফেলে তাদের সাধারণ নির্বাচনে আসতে হবে। নির্বাচনে আসার জন্য হাইকমান্ডের ওপর দলের সাধারণ নেতাকর্মীদের চাপ আছে। আওয়ামী লীগেরও উচিত নির্বাচনে আসার জন্য বিএনপি-জোটের ওপর চাপ অব্যাহত রাখা। না আসার জন্য দমননীতির সাহায্য নেওয়া নয়। তিনটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচনই দিকনির্দেশনা দেবে দেশ কোন দিকে এগোবে। (কালের কণ্ঠ থেকে সংগৃহীত)