যুব সমাজের জন্য ইতিবাচক কিছু করতে চান সোহেল তাজ
প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘বেশ কিছু দিন ধরে ভাবছি আমার জন্মভূমি, মাতৃভূমি বাংলাদেশের জন্য ভালো কিছু কী করা যায় এবং বিশেষ করে যুবসমাজের জন্য পজিটিভ কিছু করা যায় কি না। অনেক চিন্তাভাবনা করে একটি সমাধান পেয়েছি—ঈদের পর জানাব!’ বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজের ভেরিফাইড পেজে সোহেল তাজ আরও লিখেছেন, ‘অনেকেই কমেন্ট করছেন যে আমার দেশে আসা উচিত—আমি বেশির ভাগ সময়ই দেশে থাকি।’
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিয়ে আলোচনার জন্ম দেয়া সোহেল তাজ দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় এবং দেশের বাইরে রয়েছেন। সম্প্রতি তার এ ঘোষণায় নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। তার এ স্ট্যাটাসে পাঁচ হাজার দুই শ ৬৯টি কমেন্টস পড়েছে। দুই হাজার তিন শ ৪৪ বার শেয়ার হয় স্ট্যাটাসটি। লাইক পড়ে ৩৬ হাজারেরও বেশি।
অনেকেই তাকে স্বাগত জানিয়েছেন। পাশে থাকতে চেয়েছেন। অনেকেই রাজনীতিতে ফিরে আসতে অনুরোধ করেছেন তরুণ ও যুবকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় প্রয়াত চার নেতার একজন তাজউদ্দীন আহমদ এবং সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীনের সন্তান সোহেল তাজকে। তবে যুব সমাজের জন্য ইতিবাচক কী করতে চান তা জানতে ঈদ পর্যন্তই অপেক্ষা করতে হবে।
প্রসঙ্গত, সোহেল তাজ বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার আমলে রাজপথে আন্দোলনে ব্যাপক সক্রিয় ছিলেন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়ে সরকার গঠনের পর স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। পরে পদত্যাগ করেন এবং চলে যান দেশের বাইরে। এক পর্যায়ে সংসদ সদস্য পদ থেকেও পদত্যাগ করেন। পরে গাজীপুরের কাপাসিয়ার ওই আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তার বোন সিমিন হোসেন রিমি।
২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের আগে সোহেল তাজের রাজনীতিতে ফেরা নিয়ে আলোচনা শুরু নেয়। তারও আগে ওই বছরের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করেন। এসব ঘটনায় ফের সোহেল তাজের রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার খবর সংবাদমাধ্যমে আসে। তবে সে সময় ফেসবুক পোস্টে এ খবর উড়িয়ে দিয়ে তিনি লিখেছিলেন ‘আমার রাজনীতিতে ফেরার যে খবর বেরিয়েছে তা পুরোপুরি অসত্য।’