পীযূষ কান্তি রায় চৌধুরীর প্রথম প্রয়াণবার্ষিকী
মানুষ কর্মের মাঝে অমরত্ব পান তার উদাহরণ এই গুণী মানুষটি : ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক
বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ, চাঁদপুর-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি পীযূষ কান্তি রায় চৌধুরীর প্রথম প্রয়াণবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান বলেছেন, আজকে এই স্মরণ সভায় প্রত্যেকে যেভাবে পীযূষ কান্তি রায় চৌধুরীর নানা গুণের কথা বলছেন, তাঁর অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনা এবং মহানুভবতার কথা বলছেন, তাতে বুঝা গেলো যে তিনি সত্যিই একজন ভালো মানুষ, গুণী মানুষ এবং সমাজ হিতৈষী ব্যক্তি ছিলেন। যদিও আমার সে ভাগ্য হয়নি তাঁর সাথে পরিচয় বা কথা বলার। কিন্তু তিনি যে সত্যিকার অর্থে একজন আদর্শবান মানুষ ছিলেন তা আজকে আলোচকদের আলোচনা থেকে বুঝতে পারলাম। আজ তাঁর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর যে স্মরণ সভা হচ্ছে, তাঁকে নিয়ে যে আলোচনা হচ্ছে, তাতে এ কথা প্রমাণিত হয় যে, মানুষ তার কর্মের দ্বারা মরেও অমর হয়ে থাকেন এবং চিরঞ্জীব হয়ে থাকেন। মানুষ কর্মের মাঝে অমরত্ব পান তার উদাহরণ এই গুণী মানুষটি। আমাদের প্রত্যেকের এমন মানসিকতা সম্পন্ন হওয়া উচিত যে, আমি মরেও যেনো অমর হয়ে থাকি মানুষের মাঝে।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর প্রেসক্লাব ভবনস্থ এলিট চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমান, বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের উপদেষ্টা কাজী শাহাদাত, ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়–য়া, অ্যাডঃ সাইয়েদুল ইসলাম বাবু, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এএইচএম আহসান উল্লাহ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা জাকির, মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলার মহাসচিব হারুন আল রশীদ, সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রের কর্মকর্তা তপন সরকার, ইয়াহিয়া কিরণ, বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের সহ-সভাপতি কেএম মাসুদ প্রমুখ। সভাপ্রধান ছিলেন বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের সভানেত্রী মুক্তা পীযূষ। উপস্থাপনায় ছিলেন মিঠুন বিশ্বাস।