• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

অনন্যা নাট্যগোষ্ঠীর গৌরবের ৪৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আজ নাটক ‘ঘরজামাই’ ॥ কাল একক অভিনয় প্রতিযোগিতা

প্রকাশ:  ২২ অক্টোবর ২০১৯, ১৪:০৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

অনন্যা নাট্যগোষ্ঠীর গৌরবের ৪৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৬ দিনব্যাপী কর্মর্সূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আজ ২২ অক্টোবর চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির মঞ্চে মঞ্চস্থ হবে মলিয়ের কমেডি নাটক, গোলাম সরওয়ারের রুপান্তরে ও শহীদ পাটওয়ারীর নির্দেশনায় ‘ঘরজামাই’। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শিল্পকলা একাডেমি মঞ্চে তা অনুষ্ঠিত হবে। পরদিন ২৩ অক্টোবর বুধবার গৌরবের ৪৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে শিশু কিশোরসহ নাট্যপ্রেমীদের একক অভিনয় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
‘আমরা অনন্যা, নাটক আমাদের রক্তঘামের ফসল’ এই স্লোগানকে ধারণ করে ১৯৭৪ সালের ২৪ অক্টোবর অনন্যা চাঁদপুর নাট্যাঙ্গনে আবির্ভূত হয়। সেই থেকে এখন পর্যন্ত অনন্যার পথচলা। প্রয়াত অ্যাডঃ হরিপদ চন্দ, প্রয়াত অজিত কুমার মুকুল, হানিফ পাটওয়ারী, সফিকুর রহমান ও শাহআলম স্বপনসহ এই ৫ জনের প্রচেষ্টায় ১৯৭৪ সালে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত অনন্যার প্রযোজনায় ৪৫টি নাটকের প্রায় সাড়ে ৪শ’ প্রদর্শনী সম্পন্ন হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রদর্শনী হয়েছে এসএম সোলাইমান রচিত ইঙ্গিত নাটকটি। চাঁদপুর তথা বৃহত্তর কুমিল্লায় নাট্য আন্দোলনের ক্ষেত্রে অনন্য রেকর্ড স্থাপন করেছে। অনন্যা নাট্যগোষ্ঠীর বিবর্ণ বিস্ময়, সুবচন নির্বাসনে, ইঙ্গিত, তোমরাই, দ্যাশের মানুষ, রাক্ষুসী, ঘরজামাই, একাত্তরের পালা, রুপভান, নবাব সিরাজউদ্দৌলা, তেসরা এপ্রিল, জীবন যেখানে যেমন, ঊনিশ একাত্তর নাটকগুলো উল্লেখযোগ্য।
অনন্যা ঢাকার জাতীয় নাট্যোৎসবে অংশগ্রহণ করে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। তাছাড়া চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ, বলাখাল, ফরিদগঞ্জ, মতলব উত্তর, পার্শ্ববর্তী জেলার কুমিল্লা, ফেণী, বিভাগীয় শহর চট্টগ্রাম, রংপুরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে নাটক মঞ্চস্থ করেছে। ১৯৭৮ সালের দ্বিতীয় জাতীয় নাট্যোৎসবে কুমিল্লা জেলার একমাত্র প্রতিনিধিত্ব করে ঢাকা শিল্পকলা একাডেমি মঞ্চে নাটক মঞ্চায়ন করে। ১৯৮২ সালে কুমিল্লা আন্তঃজেলা নাট্যোৎসব, ১৯৮৪ সালে বর্ণচোরা আন্তঃজেলা নাট্যোৎসব, ১৯৮৬ সালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত পক্ষকালব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব, ১৯৮৯ সালে বর্ষাকালীন নাট্য উৎসব, ১৯৯১ সালে অনুপম নাট্য গোষ্ঠী ও গ্রুপ থিয়েটার সমন্বয় পরিষদের নাট্যোৎসব, প্রয়াত অজিত কুমার মুকুলের স্মরণে সম্মিলিত নাট্য গ্রুপ আয়োজিত নাট্যোৎসব, ১৯৯২ সালে বর্ণচোরা নাট্য গোষ্ঠীর নাট্যোৎসব, ১৯৯৩ সালে চাঁদপুর ড্রামার আন্তঃজেলা নাট্যোৎসব, ১৯৯৩ ও ৯৫ সালে কুমিল্লা জনান্তিক নাট্য সম্প্রদায়ের আন্তঃজেলা নাট্যোৎসব, ২০০০ সালে কুমিল্লা জনান্তিকের আন্তঃজেলা নাট্যোৎসবসহ চট্টগ্রামের বেশ ক’টি নাট্যোৎসবে অংশগ্রহণ করে চাঁদপুরের সুনাম বয়ে আনে।
এসব উৎসবে অংশগ্রহণ ছাড়াও অনন্যা নাট্যগোষ্ঠী ছোট-বড় ১২টি নাট্যোৎসবের আয়োজন করে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে : ১৯৮৬ সালে আন্তঃ জেলা নাট্যোৎসব, ১৯৯৯ সালে ২ যুগ পূর্তি, ২০০০ সালে রজতজয়ন্তী নাট্যোৎসব, ২০০১ সালে শীতকালীন নাট্যোৎসব, ২০০৫ সালে ৩০ বছর পূর্তি নাট্যোৎসব, এবং ২০১০-১১ সালে ৩ যুগপূর্তি উপলক্ষে নিজস্ব প্রযোজনায় ৬ দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটারের অনুদানে অনন্যার তরুণ নাট্যকার জসিম মেহেদীর রচনায় ‘ভাঙন’ নাটকটি ঢাকা মহিলা সমিতি মঞ্চে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল হলে মঞ্চস্থ করা হয়। চাঁদপুর মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা মঞ্চে বিজয় উৎসব এবং সাংস্কৃতিক মাস ছাড়াও নিয়মিতভাবে দর্শনীর বিনিময়ে নাটক মঞ্চায়ন করে অনন্যা। আজ চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মঞ্চে হাসির নাটক ‘ঘরজামাই’ মঞ্চস্থ হবে। শহীদ পাটোয়ারীর নির্দেশনায় নাটকটিতে অভিনয় করবেন শহীদ পাটওয়ারী, মৃনাল সরকার, রুনা আক্তার আশা, টুটন চক্রবর্তী, মারিয়াসহ আরও অনেকে।