বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকীতে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ
বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এদেশ স্বাধীন হত না : জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান
বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ২৫ আগস্ট রোববার বিকেলে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি মুক্তা পীযূষের সভাপ্রধানে ও সাধারণ সম্পাদক মিঠুন বিশ^াসের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, চাঁদপুরের প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনের মাধ্যমে কোমলমতি শিশু ও নবপ্রজন্মরা জাতির পিতাকে জানতে পারবে। এ ধরনের আয়োজন যত হবে প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুকে তত বেশি জানতে পারবে। শিশু ও নতুন প্রজন্ম এই ধরনের সংগঠনের মাধ্যমে বেড়ে উঠবে। যারা এ ধরনের সুন্দর সংগঠনের মাধ্যমে কাজ করবে আমরা সবসময় তাদের সাথে থাকবো।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ মঈনুল হাসান, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমান, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডঃ শেখ মোঃ জহিরুল ইসলাম, এডিশনাল পিপি অ্যাডঃ সাইয়েদুল ইসলাম বাবু ও বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের উপদেষ্টা ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়–য়া। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি উজ্জ্বল হোসাইন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ফরিদ হাসান প্রমুখ।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি নাম নয়, এটি একটি ইতিহাস। তাঁর আদর্শ যেন আমরা ধারণ ও লালন করি। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এদেশ স্বাধীন হত না। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারতাম না। বঙ্গবন্ধুকে নিঃশেষ করতে তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু মিশে আছেন ১৬ কোটি বাঙালির মাঝে। তিনি নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন অন্যের উপকারে। তিনি ছিলেন পরোপকারী। পড়ালেখা করেছেন কিংবদন্তীর মতো। কারাগারে থেকেও তিনি বহু বই পড়েছেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে রক্ষা পেয়ে তিনি ঘোষণা করেন আমরা রবীন্দ্রনাথের গান গাইব। খোকা, শেখ সাহেব তারপর তিনি হলেন বঙ্গবন্ধু। লাল সবুজের পতাকা ছিনিয়ে আনতে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। ৭৫’র ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে এ পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল ঘাতকরা। ঘাতকরা ভেবেছিল, এ জাতি যার নেতৃত্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিল সেই নেতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলে এ জাতি আর মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না। আজ থেকে ২০/২৫ বছর আগে বঙ্গবন্ধুর নাম নেয়া যেতো না। নিলেই তাদের উপর নির্যাতন করা হতো। তারা শেখ হাসিনাকেও গ্রেনেড হামলা করে হত্যা করতে চেয়েছিল।
আলোচনা সভা শেষে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সভার শুরুতেই সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রকাশিত শোক দিবসের ‘অর্ঘ্য’ নামের গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।