সপ্তসুর সংগীত একাডেমির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বর্ষবরণ
সমাজ ও দেশ বিনির্মাণে শিল্প-সংস্কৃতির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ : জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান
চাঁদপুরের প্রতিষ্ঠিত সাংস্কৃতিক সংগঠন সপ্তসুর সংগীত একাডেমির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বর্ষবরণ গতকাল বুধবার জেলা শিল্পকলা একাডেমি মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনের উপদেষ্টা রোটাঃ কাজী শাহাদাতের সভাপ্রধানে ও নাট্যব্যক্তিত্ব শরীফ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, সত্যিকার অর্থে শিল্পী ও সংগীত কত মূল্যবান তা অনেকেই জানে না। সমাজের উন্মাদনায় অনেকেই মনে করেন সংস্কৃতিতে সৃষ্টিশীলতা নেই। এই ধারণা ভুল। যাঁরা সংগঠনগুলোকে এখনো আগলিয়ে রেখেছেন তাঁরা সত্যিকার অর্থে সমাজ বিনির্মাণে কাজ করছেন।
তিনি বলেন, সপ্তসুর অর্থ ৭ সুরের মিশ্রণ। সাতের মাহাত্ম্য অনেক গভীরে লুকায়িত। অনেকেই এর অর্থ বলতে চান না। গত বছর আমরা সপ্তসুরের এই অনুষ্ঠান উপভোগ করেছি। এখানে অনেক শিশুশিল্পী নৃত্য করেছে। তারা সুরে সুরে অনেক গভীরে মিশে যায়। সমাজ ও দেশ বিনির্মাণে শিল্প-সংস্কৃতির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আজকে সপ্তসুরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বর্ষবরণ অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশের একজন গুণী শিল্পী শচীনদেব বর্মনকে উৎসর্গ করে তাদের যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেছে তা সত্যিকার অর্থে প্রকৃত সংগীতশিল্পীকে মূল্যায়ন করা হয়েছে। আরো বক্তব্য রাখেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অজয় কুমার ভৌমিক, প্রকৌশলী মোঃ দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের অধ্যক্ষ রূপালী চম্পক। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা, জেলা প্রশাসকের সহধর্মিণী, জেলা প্রশাসক ভগ্নিপতি হাফিজুর রহমান, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তপন সরকার প্রমুখ।
সংক্ষিপ্ত আলোচনার পূর্বে অতিথিগণ প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে সপ্তসুর সংগীত একাডেমির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা, সংগীত ও নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন সংগঠনের অধ্যক্ষ রূপালী চম্পক। নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন অপর্ণা দাস শম্পা ও ফাইজুল আলম রেমন। নৃত্য পরিবেশন করেন শম্পা দাস, মুনা, লিও, বর্ষা, বাঁধন, পৃথিবী, নিহা, ফুল, সুমি, ইচ্ছা, কাব্য, অর্পিতা, নিভৃতা ও মেঘ। সংগীত পরিবেশন করেন মানসী চক্রবর্তী, তৃষ্ণা বণিক, স্বজন সাহা, লিটন মজুমদার, তৃণা, মুনা, লিও, বর্ষা, বাঁধন, সুপ্রিয়, প্রমিত, ফুল, তৃষ্ণা, কৃষ্ণা, পূর্ণতা, তানিয়া, সত্যম, মানিষ, অংকিতা, কাব্য, অর্পিতা, অর্থি, লুপা ও পৃথী। যন্ত্র সংগীতে ছিলেন খোকন দাস ও জনি দাস। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন চম্পক সাহা।