বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া
চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-মতলব দক্ষিণ) আসনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয় হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী (নৌকা প্রতীক) মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-২ আসনে শান্তিপূর্ণভাবে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। ৭ জানুয়ারি রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্য করার মতো। কেন্দ্রগুলোর কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি।
এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী (নৌকা প্রতীক) মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম ১ লাখ ৮৫ হাজার ৯৯৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী এম ইসফাক আহসান পেয়েছেন ২১ হাজার ৩৩৫ ভোট।
এছাড়াও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে মোঃ এমরান হোসেন মিয়া পেয়েছেন ১ হাজার ২৬৫ ভোট, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির একতারা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯৫৮ ভোট, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) মশাল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৮৭ ভোট।
চাঁদপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা কামরুল হাসান মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ার লক্ষ্যে মাঠে ছিল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি, মোবাইল টিম, পুলিশ, ব্যাটেলিয়ন আনসার, আনসার ভিডিপিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্য সদস্যরা। শীতের সকালে ভোটার কম থাকলেও দুপুরে ও বিকেলে উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়।
সকালে মোহনপুর ইউনিয়নের দশানী মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ভোট দেন নৌকার প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, তাঁর সহধর্মিণী পারভীন চৌধুরী রীনা, আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য রাশেদুল হোসেন চৌধুরী রনি, প্রয়াত সাজেদুল হোসেন চৌধুরীর সহধর্মিণী সুবর্ণা চৌধুরী বীনা, আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার আশফাক চৌধুরী মাহি।
মতলব উত্তর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড শিকারীকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে ১০১ বছরের আরেফা খাতুন নামে এক নারী ভোটার। পুত্র এবং পুত্রবধূর সাহায্যে হুইল চেয়ার করে এসেছেন তিনি ভোট দিতে।
ছেংগারচর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড ছেংগারচর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ভোট দিয়ে বের হয়ে রুহুল আমিন মোল্লা বলেন, ভোটের পরিবেশ সুন্দর। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছি।
হানিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ দেখা যায়। কলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোবহান সরকার সুভা বলেন, কলাকান্দা ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ চলছে। ভোটাররা দল বেঁধে ভোট দিতে আসছে।
ফরাজিকান্দি ইউনিয়নের আমিনপুর কেন্দ্রের এক নারী ভোটার রহিমা খাতুন বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে গিয়ে ভোট দিয়েছি। কোনো সমস্যা হয়নি। পছন্দের প্রার্থী এবং নিরিবিলি পরিবেশে ভোট দিতে পেরে আমি খুশি।
নির্বাচনে সহকারী রির্টানিং অফিসার উপজেলা নির্বাহী অফিসার একি মিত্র চাকমা জানান, ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান করতে পারে, সে জন্য ভোটারদের নিরাপত্তা ও ভোটকেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবসময় টহলে ছিল। কোনো কেন্দ্রে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
ছবি-১৯
দশানী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিলেন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া
মাহবুব আলম লাভলু ॥ সকালে চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-মতলব দক্ষিণ) আসনের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের দশানী মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন আসনটির নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম। ভোট প্রদান শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমার ভোট কেন্দ্র মোহনপুর। অত্যন্ত চমৎকার ভাবে মতলব উত্তর-দক্ষিণের নির্বাচন হচ্ছে। স্বতঃস্ফূর্তভাবে ‘আমার ভোট আমি দিব, যাকে খুশি তাকে দিব’ স্লোগানে বলীয়ান হয়ে ভোটাররা তাদের নিজস্ব মতামত ও পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন। এটি অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। এই আসনে জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী। তবে জয়-পরাজয় সম্পূর্ণ নির্ভর করে ভোটারদের উপর। উপরে আল্লাহ, আর নিচে ভোটাররা। তারা যদি আমাকে প্রার্থী হিসেবে পছন্দ করে, তবে অবশ্যই নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে চাঁদপুর-২ আসন থেকে আমাকে নির্বাচিত করবেন। আমার বিশ্বাস, সবার দোয়া নিয়ে আমি জয়যুক্ত হবো ইনশাআল্লাহ।
দশানী মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আরো ভোট দিয়েছেন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রমের সহধর্মিণী পারভীন চৌধুরী রীনা, আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদসয় রাশেদুল হোসেন চৌধুরী রনি, প্রয়াত সাজেদুল হোসেন চৌধুরীর সহধর্মিণী সুর্বণা চৌধুরী বীনা ও আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার আশফাক চৌধুরী মাহি।