• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ফরিদগঞ্জে জমির সীমানা নিয়ে বিরোধ ॥ ফলজ ও বনজ গাছ কেটে সাবাড়

প্রকাশ:  ০৪ জুন ২০২৩, ০৯:০১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

ফরিদগঞ্জে জমির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধের জের ধরে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ফলদ ও বনজ গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২জুন) শেষ বিকেলে উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের উত্তর সাহেবগঞ্জ গ্রামের পত্তন আলী হাজী বাড়ির আব্দুল আউয়ালের সাথে পাশর্^বর্তী প্রকৌশলী আজহারুল ইসলামের জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। বিরোধ নিয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত তিন মাস পূর্বে স্থানীয়ভাবে মাপজরিপ পূর্বক সীমানা নির্ধারণ করা হয়। সালিসগণ আজহারুল ইসলামের কৃষি জমির ওপর আব্দুল আউয়ালের জমিতে থাকা গাছের ডালপালা কেটে অপসারণ করার নির্দেশনা দেয়। সেই অনুযায়ী আব্দুল আউয়াল গাছের ডালপালা কেটে ফেলে। কিন্তু শুক্রবার (২জুন) বিকেলে হঠাৎ করেই আজহারুল ইসলাম লোকজন নিয়ে আব্দুল আউয়ালের ভূমির ওপর থাকা ১০/১৫টি বড় আকারের আম গাছ, জারুল, শিমুল গাছ ও কড়ই গাছ কেটে ফেলে। এ সময় আঃ আউয়ালের পরিবারের লোকজন গাছ কাটতে বাধা দিলে তারা সটকে পড়ে।
এ ব্যাপারে আব্দুল আউয়াল জানান, শুক্রবার বিকেলে থানার এক দারোগা এসে মাপজরিপের কাগজ দিয়ে যাওয়ার পরপরই তার প্রতিপক্ষরা আমার লক্ষাধিক টাকার গাছ কেটে বিনষ্ট করে। আমি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
স্থানীয় আবুল কালাম, মমিন গাজী, ফারুক বেপারী, আঃ কাদিরসহ অন্যান্য লোকজন জানান, উভয় পক্ষের মধ্যে সীমানা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। কিন্তু এভাবে জোরপূবর্ক ফলদ ও বনজ গাছ কাটা মোটেও ঠিক হয়নি। এতে দুই পক্ষের বিরোধ আরো বাড়বে।
গাছ কাটার কথা স্বীকার করে আজহারুল ইসলাম বলেন, মাপজরিপের পর আমার প্রতিপক্ষকে গাছ কাটতে বলেছিলাম। কিন্তু তিনি তা না করায় আমি লোকজন নিয়ে আমার সীমানার ওপর থাকা গাছ কেটে ফেলেছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন জানান, গাছ কাটার খবর পেয়ে আমি গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। না হলে আরো বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতো।
ফরিদগঞ্জ থানার এসআই রুবেল ফরাজী জানান, মাপজরিপের কাগজ (হাত নকশা) দিয়ে আমি দিয়ে চলে এসেছি। এরপর কী হয়েছে জানি না। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেন।

 

সর্বাধিক পঠিত