• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

বোরো আবাদ নিশ্চিতে খাজুরিয়ায় সেচ খাল খনন শুরু

প্রকাশ:  ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:৩৬ | আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:৩৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর সেচ প্রকল্পভুক্ত ফরিদগঞ্জ উপজেলার পৌরসভাসহ পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন অঞ্চলে খালে পানি না থাকায় বোরো আবাদ ব্যাহত হবার ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থাগ্রহণের অংশ হিসেবে খাল খনন শুরু হয়েছে। ৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নে এ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বুলবুল আহমেদ, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি নুুরুন্নবী নোমান ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রবীর চক্রবর্তী।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বুলবুল আহমেদ জানান, তার ইউনিয়নসহ আশপাশের বেশ ক’টি ইউনিয়নের শত শত হেক্টর জমিতে কৃষকরা সেচ পানির অভাবে অদ্যাবধি বোরো আবাদ করতে পারছে না। তাই আমরা ভরাট হয়ে যাওয়া খালে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে স্বেচ্ছাশ্রমে খাল খনন শুরু করেছি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ইউনিয়নের অন্তত ২০টি স্থানে প্রতিবন্ধকতা দূর করার সাথে সাথে খনন কাজ শুরু করেছি।
জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে বোরো আবাদের জন্যে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সেচ প্রকল্পভুক্ত খালে পানি আসার কথা থাকলেও ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত উপজেলার পূর্বাঞ্চলের গুপ্টি পূর্ব, গুপ্টি পশ্চিম, রূপসা উত্তর, রূপসা দক্ষিণ এবং পৌর এলাকার কয়েকটি ওয়ার্ডে শত শত একর ফসলি জমি তৈরির পরও পানির অভাবে ধানের চারা লাগাতে পারছে না চাষীরা। এছাড়া চাঁদপুর সেচ প্রকল্পভুক্ত রামগঞ্জ উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকার আবাদি জমি অনবাদি থেকে যায়। ইতোমধ্যেই ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পার হয়ে গেছে।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, কৃষি বিভাগের লোকজন, পাউবো ও বিএডিসি প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়।
বৈঠকে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগণ খালগুলোর বর্তমান চিত্র তুলে ধরেন বলেন, দখলে ও দূষণে প্রতিটি ইউনিয়নে সেচখালগুলো অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে। তাছাড়া অনেক খাল রয়েছে বহু বছর খনন করা হয় না। এগুলো ইতোমধ্যেই ভরাট হয়ে যাওয়ায় এবং ন্যবতা না থাকায় এই দুরবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেলে উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নুরে আলম জানান, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে পানি উন্নয়ন বোর্ড পানি না ছাড়ায় এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এখন বোরো আবাদের জন্য এই পর্যন্ত ৬০৮টি সেচপাম্প চালু রয়েছে। ফলে খালে যে পরিমাণ পানি রয়েছে তা দিয়ে সেচপাম্পগুলো চলার কারণে পূর্বাঞ্চলের খালগুলোতে পানি যাচ্ছে না।
এদিকে ভুক্তভোগীরা জানান, একমাসের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও খালে পানি না থাকায় তারা বোরো আবাদ থেকে বঞ্চিত। হয়তবা তাদের জমিগুলো এ বছর আবাদশূন্য থাকতে পারে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান জানান, গত মঙ্গলবারের বৈঠকের পর পানি উন্নয়ন বোর্ড পানি সরবরাহ বাড়িয়েছে। ফলে ইতোমধ্যেই সেচ প্রকল্পের অপেক্ষাকৃত উঁচু এলাকার সেচ খালে পানি যাওয়া শুরু হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জানান, সেচখালে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে স্বেচ্ছাশ্রমে খাল খনন কর্মসূচি গ্রহণের জন্যে জনপ্রতিনিধিদের অনুরোধ করেছি। এছাড়া আগামীতে ৪০ দিনের কর্মসূচিসহ টিআর কাবিটার প্রকল্পকে কাজে লাগানো যেতে পারে।