ফলাফলের শীর্ষে পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
হাজীগঞ্জে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৬৭ জন ॥ পাসের হার ৯৫
প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২২, ১৩:১৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট
চলতি বছর অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে হাজীগঞ্জ উপজেলায় ৪৬৭ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। পাসের হার ৯৫ শতাংশ। উপজেলার ৩৩টি বিদ্যালয় থেকে এ বছর ৩ হাজার ৫শ’ ৭০ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৩ হাজার ৩শ’ ৮৬ জন। ফেল করেছে ১৮৪ জন। এ গ্রেড ১২০৫ জন, এ মাইনাস ৬৭৭ জন, বি গ্রেড ৫৯৩ জন, সি গ্রেড ৪২৩ জন ও ডি গ্রেড ২১ জন।
এ বছর উপজেলার ৩৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল সরকারি পাইলট হাই স্কুল এন্ড কলেজ থেকে পরীক্ষায় ৩১২ জন অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৯ জন। হাজীগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যলয় থেকে ২১৬ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছে, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২৮ জন। পিরোজপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১২১ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১১২ জন পাস করেছে, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৯ জন, পাসের হার ৯৩। রাজারগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৩৮ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ১৩৩ জন, পাসের হার ৯৬, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৫ জন। বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৪৯ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ১৩৯ জন, পাসের হার ৯৩, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ জন। পালিশারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১১০ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ১০৬ জন, পাসের হার ৯৬, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৯ জন। রান্ধুনীমুড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৮৭ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৮৫ জন, পাসের হার ৯৮। রামচন্দ্রপুর ভূঁইয়া একাডেমি থেকে ১০৫ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ১০১ জন, পাসের হার ৯৬, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ জন। ধড্ডা পপুলার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১১৫ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ১১২ জন, পাসের হার ৯৭, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬ জন। সুুহিলপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৩০ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ১২২ জন, পাসের হার ৯৪, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ জন। সপ্তগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৪২ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাস করেছে। হাজীগঞ্জ আমিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৪৯ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ১৪৮ জন, পাসের হার ৯৯, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ জন। বোরখাল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৮ জন পরীক্ষায় অংশ পাস করেছে ২৬ জন, পাসের হার ৯৩, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। নাসিরকোট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৩৬ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ১২৮ জন, পাসের হার ৯৪, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ জন, বলাখাল জেএন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৭৪ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৭২ জন, পাসের হার ৯৭, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ জন। বড়কুল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৫৬ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৫৫ জন, পাসের হার ৯৮, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ জন। রামপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৫০ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ১৯৬ জন, পাসের হার ৭৮, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ জন। বলাখাল চন্দ্রবান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৩৭ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ১২৭ জন, পাসের হার ৯৩, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ জন। জগন্নাথপুর হাজী এরশাদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১২৪ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ১১৮ জন, পাসের হার ৯৫, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। মেনাপুর বাদশা মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১১৬ অংশ নিয়ে পাস করেছে ১০৪ জন, পাসের হার ৯০, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন। পীর বাদশা মিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৮ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ১৭ জন, পাসের হার ৯৪। টঙ্গীরপাড় হাটিলা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১০৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ১০১ জন, পাসের হার ৯৩, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ জন। শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৫৭ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৫৩ জন,পাসের হার ৯৩, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। বেলচোঁ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১১৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ১১৬ জন, পাসের হার ৯৭, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ জন। প্যারাপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৮৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৭৯ জন, পাসের হার ৯৫, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন। বলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১২৬ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ১২৪ জন, পাসের হার ৯৮, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ জন। বড়কুল রামকানাই উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৭২ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৬৬ জন, পাসের হার ৯২, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন। দেশগাঁও জয়নাল আবেদিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১১৪ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ১০৯ জন, পাসের হার ৯৬, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ জন। মালিগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৬৬ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৬২ জন, পাসের হার ৯৪, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ জন। অলিপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৫৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৫২ জন, পাসের হার ৯৫। মৈশাইদ পল্লীমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৪৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৪০ জন, পাসের হার ৯৩, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন। আল কাউসার স্কুল থেকে ৭৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৭৮ জন, পাসের হার ৯৯, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ জন। আল বান্না বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩৫ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছে, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন।
৪টি প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পাস করেছে। এর মধ্যে শতভাগ পাসসহ জিপিএ-৫-এর দিক থেকে উপজেলার সেরা হাজীগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ২১৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২৮ জন, এ গ্রেড ৭৭ জন, এ মাইনাস ৫ জন, বি গ্রেড ৪ জন ও সি গ্রেড ২ জন। শতভাগ পাসসহ জিপিএ-৫ নিয়ে উপজেলার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল পাইলট হাই স্কুল এন্ড কলেজ। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৩১২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৯ জন, এ গ্রেড পেয়েছে ১২৫ জন, এ মাইনাস পেয়েছে ৫৮ জন, বি গ্রেড ৩৬ জন ও সি গ্রেড পেয়েছে ২৪ জন। শতভাগ পাসের মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে উপজেলার রামপুর বাজার সংলগ্ন আল বান্না বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৩৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন, এ গ্রেড ১৭ জন, এ মাইনাস ৪ জন, বি গ্রেড ১০ জন ও সি গ্রেড ১ জন। জিপিএ-৫-এর দিক দিয়ে ৪র্থ অবস্থানে রয়েছে সপ্তগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৪২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে এ গ্রেড পেয়েছে ১৪ জন, এ মাইনাস ১৪ জন, বি গ্রেড ৫ জন ও সি গ্রেড ৯ জন।
হাজীগঞ্জ আমিন মেমেরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৪৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ১৪৮ জন। পাসের হার ৯৯.৩৩ শতাংশ। অকৃতকার্য হয়েছে ১ জন। পাস করা পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ জন, এ গ্রেড ৮১ জন, এ মাইনাস ২৫ জন, বি গ্রেড ২২ জন, সি গ্রেড ১১ জন ও ডি গ্রেড ১ জন।
বলাখাল জেএন উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কারিগরি কলেজ থেকে ৭৪ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৭২ জন। পাসের হার ৯৭.৩০ শতাংশ। অকৃতকার্য হয়েছে ২ জন। পাস করা পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ জন, এ গ্রেড ২৫ জন, এ মাইনাস ২০ জন, বি গ্রেড ৮ জন ও সি গ্রেড ৫ জন।
আল কাউসার স্কুল থেকে ৭৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৭৮ জন। পাসের হার ৯৮.৭৩ শতাংশ। অকৃতকার্য হয়েছে ১ জন। পাস করা পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ জন, এ গ্রেড ৩৭ জন, এ মাইনাস ১৪ জন, বি গ্রেড ১১ জন ও সি গ্রেড ৩ জন।
এ বছর হাজীগঞ্জ উপজেলার ৩৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪টিতে শতভাগ পাসসহ ২৭টি প্রতিষ্ঠানে পাসের হার ৯০ শতাংশের উপরে। বাকি ২টির মধ্যে মেনাপুর বাদশা মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮৯.৬৬ শতাংশ। ফলাফলে পিছিয়ে রয়েছে রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ে পাসের হার ৭৮.৪০ শতাংশ। ২৫০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৯৬ জন, অকৃতকার্য হয়েছে ৫৪ জন।