• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদ স্মারক জাতীয় বিতর্ক উৎসব-২০২২-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী

আমাদের তরুণ সমাজ বর্তমান ও আগামী বিশ্বের চালিকাশক্তি

প্রকাশ:  ১৬ অক্টোবর ২০২২, ০৯:৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, গণতান্ত্রিক চর্চাকে এগিয়ে নিতে বিতর্ক শক্তিশালী সহায়ক ভূমিকা পালন করে। বিতর্ক আমাদের নিত্যদিনের অনুষঙ্গ। আমাদের তরুণ সমাজ বর্তমান ও আগামী বিশে^র চালিকাশক্তি এবং নেতৃত্বের কর্ণধার। আসুন আমরা আমাদের চেতনাকে শাণিত করে যুক্তিনির্ভর চিন্তার প্রসারকে আরো বিস্তৃত করি। সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলার সাহসে বলীয়ান হই এবং সৃজনশীল মানবিক মূল্যবোধ সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলি।
তিনি গতকাল ১৫ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদ স্মারক জাতীয় বিতর্ক উৎসব-২০২২-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদ মেমোরিয়াল  ট্রাস্টের  চেয়ারম্যান ও শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপির সভাপ্রধানে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মশিউর রহমান ও একাত্তর টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার),  ড্যাফোডিল পরিবারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নুরুজ্জামান, সিডিএমের আজীবন সম্মাননাপ্রাপ্ত চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক অসিত বরণ দাস ও সনাক, চাঁদপুর-এর সাবেক সভাপতি, বাবুরহাট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোশারেফ হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. এসএম শামীম রেজা, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল, বাংলাদেশ ডিবেট ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি ডাঃ আবদুর নূর তুষার, যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার মাহফুজ মিশু, নগদ-এর সিইও সোলাইমান সুখন প্রমুখ।
স্পীকার ড. শিরীন শারমিন আরো বলেন, বিতর্ক বর্তমান যুগের শিক্ষিত সমাজে একটি অতি পরিচিত বিষয়। এখন স্কুল-কলেজ বিশ^বিদ্যালয় পর্যায়ের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বিতর্ক চর্চা হয়। একজন মানুষ বিতর্ক চর্চার মাধ্যমে তার চিন্তা-চেতনার জগতে পরিবর্তন সাধন করতে পারেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়ে তুলতে হবে। তিনি তাঁর বক্তব্যে সকল বিতার্কিককে অভিনন্দন এবং আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।
‘শুদ্ধ চিন্তা মুক্ত থাকুক যুক্তির আশ্রয়ে’ স্লোগানকে সামনে রেখে এটি দেশের বিতার্কিকদের সবচেয়ে বড় মিলনমেলা। যেখানে ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেড়শ’ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেড় হাজারেরও বেশি বিতার্কিক অংশ নেন।
জাতীয় পর্যায়ের বিতর্ক প্রতিযোগী ছাড়াও ১৪-১৫ অক্টোবর ১৫০টিরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে দুই হাজারেরও অধিক বিতার্কিক এবং বিতর্ক অনুরাগী অংশ নেয় জাতীয় এ বিতর্ক উৎসবে। দেশ সেরা বিতার্কিক দের সাথে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এবং অন্যান্য অতিথিবৃন্দ বিতর্কে অংশ নেন এবং নির্ধারিত বিষয়ে তাদের বিতর্ক প্রতিযোগিতা আরো প্রাণবন্ত হয়ে উঠে উৎসব।
বাংলাদেশ ডিবেট ফেডারেশন (বিডিএফ)-এর সহযোগিতায় চাঁদপুর ভেন্যুতে জাতীয় এ বিতর্ক উৎসবের আয়োজন করে চাঁদপুর বিতর্ক আন্দোলন (সিডিএম) ও চাঁদপুর সরকারি কলেজ ডিবেট ফোরাম (সিসিডিএফ)।
আলোচনা পর্ব শেষে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানের সভাপ্রধান ও অতিথিবৃন্দ বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে উৎসবকে ঘিরে প্রকাশিত স্মরণিকা উন্মোচন করা হয়।
এবারের আয়োজনে চাঁদপুরের বিতর্ককে এগিয়ে নিতে যারা নেপথ্যে কাজ করছেন তাঁদের মধ্যে চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ ও বাবুরহাট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোশারেফ হোসেনকে সিডিএমের পক্ষ থেকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। গত ১৩ অক্টোবর থেকে পর্যায়ক্রমে শুরু হয় বর্ণিল আয়োজনের জাতীয় এ বিতর্ক উৎসব। শনিবার প্রাণের উচ্ছ্বাসে হাজারো শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ ও পদচারণায় সফল সমাপ্তি হয় এ উৎসবের।
পুরো অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন সিডিএমের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাব্বির আজম। তাকে সহযোগিতা করেন চাঁসক শিক্ষকবৃন্দ এবং সিডিএম ও সিসিডিএফের এক ঝাঁক তরুণ। প্রশাসনিক কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষকমণ্ডলী, সাংবাদিক এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অসংখ্য মানুষ বিতর্ক উৎসব উপভোগ করেন।