• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ফরিদগঞ্জে শ্রেণী শিক্ষক পরীক্ষা কেন্দ্রে, তাই বন্ধ স্কুল!

প্রকাশ:  ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:১৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 শ্রেণী শিক্ষক এসএসসি পরীক্ষা নেয়ার দায়িত্বে, তাই ব্যাহত শ্রেণী শিক্ষা কার্যক্রম। শিক্ষকরা পরীক্ষার হলের দায়িত্বে রয়েছেন এমন অভিযোগ তুলে বন্ধ রাখা হয় সন্তোষপুর উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের ১১ জন শিক্ষকের মধ্যে প্রধান শিক্ষকসহ ৫জন এসএসসি পরীক্ষা কন্দ্রে নিয়োজিত থাকায় বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল। 
গত ১৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশের ন্যায় উপজেলার ১০টি কেন্দ্রে এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল পর্যায়ের ৫৭৪৮ জন পরীক্ষার্থীর জন্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস। ২০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্তোষপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। সেখানে বন্ধ রাখা হয় শ্রেণীশিক্ষা কার্যক্রম। অথচ  স্কুলটি পরীক্ষা কেন্দ্রের আওতাভুক্ত নয়। 
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (হিসাববিজ্ঞান) শাহজাহান জানান, আমাদের ১১ জন শিক্ষকের মধ্যে ৫ জন পরীক্ষা কেন্দ্রে, তাই আমরা স্কুল বন্ধ রেখেছি। সন্তোষপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মাসুদ আলম জমাদার বলেন, আমাদের শিক্ষক স্বল্পতার কারণে স্কুল বন্ধ করে দিয়েছি। স্কুল বন্ধ রাখার কোনো নিয়ম বা নির্দেশনা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বন্ধ রাখার বিষয়ে প্রধান শিক্ষক জানেন। তার নির্দেশে বন্ধ রাখা হয়েছে। তার (প্রধান শিক্ষকের) অনুমতি ব্যতীত আর কিছু  বলা যাবে না। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বন্ধ থাকবে কেন? আমি পরীক্ষার্থীদের নিয়ে বিদ্যালয়ের বাইরে আছি। আমি জেনে আপনাকে জানাবো। এভাবে বন্ধ রাখার কোনো নিয়ম আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, পাঠ ব্যাহত কিংবা বন্ধ রাখার বিধান নেই। কী কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে আমি স্কুলে গিয়ে খোঁজ নিবো। উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার মামুনুর রশীদ বলেন, পরীক্ষার হলে গার্ড দেয়ার জন্যে স্কুল বন্ধ রাখতে হবে এমন অবস্থা ফরিদগঞ্জে নেই। আমাদের প্রতিটি স্কুলেই পর্যাপ্ত শিক্ষক রয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলী রেজা আশ্রাফী বলেন, স্কুল বন্ধ রাখবে কেন? প্রয়োজনে একটা বিষয় কম করে হলেও তারা শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। অপর এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ৫২ জন পরীক্ষার্থীর জন্যে সে বিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ৩ জন শিক্ষক দায়িত্বে থাকার কথা, ৫ জন দায়িত্ব পেলো কীভাবে, বিষয়টি দেখা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলিমুন নেছা বলেন, যেখানে পরীক্ষা কেন্দ্র নেই সেই স্কুল বন্ধ রাখার কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখবো।

সর্বাধিক পঠিত