• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

শোভন শিক্ষাঙ্গন-৪

মাল্টিমিডিয়া ক্লাস চলে চরমেয়াশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে

প্রকাশ:  ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:০৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের চরমেয়াশা গ্রামটি চাঁদপুর শহরের নিকটে হওয়া সত্ত্বেও দুর্গম এলাকায় অবস্থান। যার চার পাশ দিয়ে বয়ে চলছে ডাকাতিয়া নদী। এ গ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়া আর কোনো বিদ্যালয় নেই। বিদ্যালয়টির নাম হচ্ছে চরমেয়াশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
বিদ্যালয়টি ১৯২৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে সুনামের সাথে চলে আসছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ২শ’ ৫ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। প্রধান শিক্ষকসহ ৭ জন শিক্ষক থাকলেও ২ জন শিক্ষক অন্যত্র ডেপুটেশনে চলে যান। বর্তমানে ৫ জন শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান করে যাচ্ছেন। স্কুলে একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী রয়েছে। 
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মহসিন তালুকদার ২০১৪ সাল থেকে এ বিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন। তিনিসহ সকল শিক্ষকের অক্লান্ত পরিশ্রমে বিদ্যালয়টি এ গ্রেডে উন্নীত করেন। ২০১৯ সালে এ বিদ্যালয়ের ১জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পায়। এছাড়া বিগত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাগুলোতে শিক্ষার্থীরা ধারাবাহিক এ প্লাস পেয়েছে। 
এ বিদ্যালয়ের বিশেষত্ব হলো এই যে, সকল শিক্ষক আইটির ওপর দক্ষ, যার ফলে তারা পাঠদান করে প্রজেক্টরের মাধ্যমে অর্থাৎ মাল্টিমিডিয়া ক্লাস চলে। খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিদ্যালয়টি অংশগ্রহণ করে থাকে নিয়মিত। বিদ্যালয়টি শিক্ষার মানোন্নয়নে সুনামের সাথে চলে আসছে। বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষসহ শ্রেণিকক্ষগুলো সুসজ্জিত করে সাজানো হয়েছে। কক্ষগুলোর বিভিন্ন নাম দেওয়া হয়েছে। রয়েছে খেলার সামগ্রী। 
বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষক সংকট রয়েছে। মিলনায়তন না থাকায় বিভিন্ন সমাবেশ ও জাতীয় দিবস শ্রেণি কক্ষে করতে গিয়ে স্থান সংকুলানের অভাবে গাদাগাদি করে বসতে হয়। বিদ্যালয়ের পুরানো ভবনটি দীর্ঘ বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। পরিত্যক্ত ভবনের চালের টিনসহ ভবনের বিভিন্ন মালামাল রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে সরকারের বহু টাকা জলে ভেসে যাচ্ছে। এ পরিত্যক্ত ভবনে হিন্দু সম্প্রদায়ের কীর্তনের সময় আসা লোকজন থাকে। এমনকি রেডক্রিসেন্টের একটি সাইনবোর্ড টানানো রয়েছে। 
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মহসিন তালুকদার বলেন, আমার বিদ্যালয়টি শিক্ষার মানোন্নয়নে এগিয়ে আছে। আমরা সকল শিক্ষক নিজ সন্তানের মতো ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান করে থাকি। বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ সংকটসহ ভবন ও শিক্ষক সমস্যা রয়েছে। একটি মিলনায়তন প্রয়োজন।
দুর্গম এলাকা হওয়ায় বদলি নিয়ে ও বদলির আদেশ পেয়ে শিক্ষকরা এ বিদ্যালয়ে সাধারণত আসতে চায় না। বর্ষা মৌসুমে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

সর্বাধিক পঠিত