• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

গণভবনে ফুলেল শুভেচ্ছায় প্রধানমন্ত্রীকে বরণ

প্রকাশ:  ০৭ অক্টোবর ২০১৭, ১২:০৮ | আপডেট : ০৭ অক্টোবর ২০১৭, ১২:১০
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক
প্রিন্ট

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে তাদের সুরক্ষার বিষয়টি জাতিসংঘে তুলে বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণভবনে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়েছে।

শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে পথে পথে শুভেচ্ছা নিয়ে শনিবার সকাল ১১টার কিছু আগে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর গণভবনে ঢুকলে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করা হয়।

এর আগে জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগদান শেষে সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান শেখ হাসিনা। বিমানবন্দরের প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান মন্ত্রিসভার সদস্য, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক অনেক কর্মকর্তা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন লেখক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, সংস্কৃতিকর্মী, ক্রীড়াবিদ ও ব্যবসায়ী অনেক নেতাও।

শেখ হাসিনাকে প্রথমে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। পরে ১৪ দলের পক্ষ থেকে তাকে ফুল দেয়া হয়।

বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে বিশিষ্ট নাগরিক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সামনে দেয়া এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী। বক্তৃতা দেওয়ার পর বিমানবন্দর থেকে গণভবনের পথে রওনা হন।

গণভবনে যাওয়ার সময় প্রায় ১৪ কিলোমিটার সড়কের দুই পাশে অবস্থান নেয়া আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের লাখো নেতাকর্মী প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। নেতাকর্মীরা পুষ্পবৃষ্টি ছিটিয়ে, বাদ্য-বাজনার তালে স্লোগানে স্লোগানে বরণ করে নেন তাদের প্রিয় নেত্রীকে। এ সময় হাত নেড়ে প্রধানমন্ত্রী তাদের অভিবাদনের জবাব দেন।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া লাখো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে তাদের সুরক্ষার বিষয়টি জাতিসংঘে তোলায় প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেয়ার কর্মসূচি নেয় আওয়ামী লীগ ও ক্ষমতাসীনদের জোট ১৪ দল।

জাতিসংঘের ৭২তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে ১৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক যান প্রধানমন্ত্রী। সাধারণ অধিবেশনে বক্তৃতা, গুরুত্বপূর্ণ সভায় অংশগ্রহণ ও কয়েকজন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন তিনি।

জাতিসংঘের অধিবেশনে বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমারের নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি এই জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় পাঁচটি প্রস্তাব তুলে ধরেন, যা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। জাতিসংঘের কর্মসূচি শেষে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ২৫ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পিত্তথলি অপসারণ করা হয়। কয়েকদিন বিশ্রাম নিয়ে ৩ অক্টোবর লন্ডনে যান তিনি।

সর্বাধিক পঠিত