অর্থাভাবে ওমানে পড়ে আছে প্রবাসীর লাশ
মতলব দক্ষিণ উপজেলার ৬নং উপাদী দক্ষিণ ইউনিয়নের এক প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধার লাশ অর্থের অভাবে পড়ে আছে ওমানের একটি সরকারি হাসপাতালে। এ খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবারের আর্থিক সঙ্কটের কারণে লাশটি বাংলাদেশে আনা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। প্রবাসীর অসহায় পরিবার লাশটি দেশে ফেরত আনতে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মহোদয়ের মাধ্যমে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও ওমানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেছেন।
জানা যায়, উপাদী দক্ষিণ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ঘোড়াধারী মোল্লা বাড়ির মৃত নূর মোল্লার তৃতীয় ছেলে হাবিব মোল্লা (৫০) জীবিকার তাগিদে ২০১২ সালে ওমান পাড়ি জমান। সেখানে গিয়ে তিনি বিল্ডিং কনস্ট্রাকশনের কাজ করছিলেন। কিন্তু দুই মাস পূর্বে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে ওমানের রাজধানীর সুর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে ভর্তি হন।
ওমানে অবস্থানরত ওই এলাকার বিল্লাল শেখ জানান, প্রবাসী হাবিব মোল্লার কাগজপত্রে ত্রুটি থাকায় পুলিশ হেফাজতে তার চিকিৎসা চলছিলো। কিন্তু গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সুর হাসপাতালের পুলিশ কর্তৃপক্ষ হাবিব মোল্লার রুমমেটদের সাথে ফোনে কথা বলে জানায় হাবিব মোল্লা সুস্থ হয়েছে। তাকে ৩/৪ দিনের মধ্যে দেশে পাঠিয়ে দিবে। কিন্তু গত ১ মার্চ সকালে তারা আবার জানান, হাবিব মোল্লা ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে স্ট্রোক করে মারা গেছে। তার লাশ বর্তমানে ওমানের সুর সরকারি হাসপাতালে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
এ খবর হাবিব মোল্লার গ্রামের বাড়িতে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় কান্নার রোল। এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে শোকের মাতম। নিহত হাবিব মোল্লা মৃত্যুকালে স্ত্রী, ১ ছেলে ও ১ মেয়ে রেখে গেছেন।
এ দিকে হাবিবের লাশ ওমানের কোম্পানীও কাগজপত্রের ত্রুটির কারণে গ্রহণ করতে চাইছেন না। তার পরিবার ও এলাকাবাসী চাইছেন হাবিবকে বাড়িতে এনে দাফন করতে। কিন্তু হাবিবের পরিবারের এতো আর্থিক সামর্থ্য নেই। এখন প্রয়োজন প্রশাসন এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা। তাই চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সুদৃষ্টি ও আন্তরিকতায় বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রাণালয় ও বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতা কামনা করছেন প্রয়াত হাবিব মোল্লার পরিবার।