ভয়েস টেলিভিশন ও সিনেবাজ অ্যাপস্-এর চাঁদপুর জেলা পর্যায়ের চূড়ান্ত পর্ব সম্পন্ন
দেশীয় সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করতে চাই :মেয়র অ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল
ভয়েস টেলিভিশন ও সিনেবাজ অ্যাপস্-এর উদ্যোগে ১১ দিনব্যাপী সংগীত ও নৃত্য প্রতিযোগিতা 'স্বপ্নচূড়া'র চাঁদপুর জেলার চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগিতা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ১৩ জানুয়ারি বুধবার বিকেল ৩টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে প্রতিযোগিতায় সুপার সেভেন পর্বে ১৪ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলা ও চাঁদপুর পৌর এলাকা থেকে উত্তীর্ণ নৃত্য ও সঙ্গীত শিল্পীরা এ চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণ করে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে ইয়েসকার্ড, ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ পুরস্কার হিসেবে তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাডঃ মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল।
প্রধান অতিথি বলেন, আমরা স্বাধীনতা অর্জনের পর দীর্ঘ বছর উল্টো পথে হেঁটেছি। গত ১২ বছর যাবৎ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার জাতিকে সঠিক পথে আনতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি আমাদেরকে সঠিক পথ দেখিয়েছেন, এ পথ ধরেই নতুন প্রজন্ম দেশকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, আজকে যারা চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণ করেছে, আমি তাদের প্রতিভা দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, এরাই আগামীতে জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে চাঁদপুরের সংস্কৃতি অঙ্গনকে আরো সমৃদ্ধ করবে। আমরা দেশীয় সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করতে চাই। এ জন্য সকলে মিলেমিশে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করবো।
মেয়র অ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল ভয়েস টেলিভিশন ও সিনেবাজ অ্যাপস্-এর কর্ণধার এবং চাঁদপুর সদর উপজেলাধীন ১০নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সেলিম খানের প্রশংসা করে বলেন, তিনি একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে তৃণমূল থেকে সঙ্গীত এবং নৃত্যশিল্পীদের বাছাই করে জাতীয় পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা শুরু করেছেন। তার এ মহতী উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডঃ মজিবুর রহমান ভূঁইয়া। এছাড়া প্রতিযোগিতা চলাবস্থায় ভয়েস টেলিভিশন ও সিনেবাজ অ্যাপস্-এর চেয়ারম্যান ও প্রধান কর্ণধার মোঃ সেলিম খান উপস্থিত ছিলেন। চাঁদপুর জেলার চূড়ান্ত পর্বের সঙ্গীত ও নৃত্য প্রতিযোগিতা সরাসরি ভয়েস টেলিভিশন ও সিনেবাজ অ্যাপসে সম্প্রচার করা হয়।
উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি তপন সরকার, মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলার মহাসচিব হারুন আল রশীদ, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শরীফ চৌধুরী, চাঁদপুর সাংস্কৃতিক চর্চাকেন্দ্রের সদস্য সচিব ইয়াহিয়া কিরণ, সঙ্গীত বিষয়ক প্রতিযোগিতার বিচারক সুরজিৎ চক্রবর্তী, কণ্ঠশিল্পী রূপালী চম্পক, কৃষ্ণা সাহা, নৃত্যের বিচারক অনিমা সেন চৌধুরী, রুমা সরকার, ফাতেমাতুজ জান্নাত ও সোমা দত্ত।
অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ভয়েস টেলিভিশন কম্পিটিশন ইভেন্ট কো-অর্ডিনেটর মৃণাল সরকার। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন সাংবাদিক ও নাট্যনির্দেশক এম আর ইসলাম বাবু। প্রতিযোগিতার সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ফাতেমা জেরিন, খাদিজা ফেরদৌস লিমা ও সুবর্ণা আক্তার।
চাঁদপুর জেলা পর্যায়ে চূড়ান্ত পর্বে সংগীতে প্রথম স্থান অর্জন করেন নিলয় দাস, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন ইফনাতুন নুশাদী এবং যৌথভাবে তৃতীয় স্থান অর্জন করে সাফানা নামরীন হোসেন মেধা ও সানজিদা আলম সাঞ্জু। নৃত্য প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে দোলা দাস দেওয়ান, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে দেবশ্রী সাহা এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করে যৌথভাবে প্রান্তিকা সাহা ও রাত্রি রাণী কর্মকার। চাঁদপুর জেলার চূড়ান্ত পর্বে সঙ্গীত ও নৃত্যে বিজয়ী ৮ জন চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণের জন্যে চূড়ান্ত হলো।