মেয়েদের বিকিনি পরিয়ে সেক্সি পোজে ছবি তুলত

সিনেপর্দার আড়ালেই ছিলেন ইমরান খান৷ বলিউডে হিট ডেবিউ করলেও পরবর্তীকালে তেমন হিট ছবি  দর্শককে দিতে পারেননি৷ হাতে গোনা কয়েকটি ছবি করার পরই টিনসেল থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন ইমরান খান৷ অ্যাওয়ার্ড শোতেও দেখা যায় না তাঁকে৷ তবে তাতে ইমরানের কোনও আক্ষেপ নেই৷ স্ত্রী এবং মেয়েকে নিয়ে নিজের মতোই রয়েছেন৷ কোনও বিষয় তেমন মন্তব্য না করলেও #গবঞড়ড় নিয়ে মুখ খুলতে বাধ্য হলেন ‘জানে তু ইয়া জানে না’র অভিনেতা৷

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ইমরান জানিয়েছেন, “আমি তখন ইন্ডাস্ট্রিতে একেবারে নতুন৷ একজন পরিচালক একটা ফিল্মের জন্য মুখ্য অভিনেত্রীদের অডিশন করছিলেন৷ প্রত্যেকটা মেয়েদের বিকিনি পরিয়ে সেক্সি পোজ দিতে বলছিলেন৷ ফোটোশ্যুটগুলো কোনও কস্টিউম টেস্ট বা এবং মার্কেটিংয়ের জন্যও ছিল না৷ সেই ফোটোগ্রাফগুলো থাকত পরিচালকের ল্যাপটপে৷ অডিশন থেকে তিনজন শর্টলিস্টেড অভিনেত্রীদের সেই ছবি গুলো দেখিয়ে আলোচনা করা হচ্ছিল৷ কোনও দরকারই ছিল না বিকিনি পরিয়ে শ্যুট করার তাও নিজের নোংরা মনোভাবের জন্য এমনটা করেছিলেন উনি৷ ক্ষমাতশালী ব্যক্তি হয়ে নিজের ক্ষমতার দুর্ব্যবহার করেন৷”

তাঁর সামনে ঘটা কিছু ঘটনা ছাডা়ও তিনি বিকাশ বেহেলের বিরুদ্ধেও কথা বলেছেন৷ পরিচালক বিকাশের বিরুদ্ধে এর আগে কঙ্গনা রানাওয়াত এবং বেশ কয়েকজন অভিনেত্রী যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন৷ অভিনেতা ইমরানও সেই অভিযোগ গুলো সত্যি বলেই অনুমান করছেন৷ তিনি জানিয়েছেন, “সবাই বিকাশ বেহেলের সম্বন্ধে কথা বলছে৷ আমিও অনেক কিছুই শুনেছি ওনার ব্যাপারে৷ এক বছর আগেও একটি মেয়ে বিকাশের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিল৷ ইন্ডাস্ট্রির সকলেই জানত৷ কিন্তু তাতে বিকাশের কিছু যায়ই আসে না৷ পাঁচ-ছয় মাস আগে আমি ওনাকে একটা পার্টিতে দেখেছিলাম৷ সেখানে উনি বেশ হেসেই সবার সঙ্গে কথা বলছেন৷ দেখা করছেন৷”

“বাকিরাও বেশ ভালো ভাবে কথা বলছে বিকাশের সঙ্গে৷ কেউ ওঁর ব্যাপারটা নিয়ে কথা বলছে না৷ আমি যখন ওই প্রসঙ্গটা তুললাম৷ দেখলাম আমি একমাত্র সেখানে আলাদা৷ এগুলো করেও কী করে সবাই কীরকম সাধারণ ভাবেই ঘুরে বেরায়৷” তিনি আরও জানিয়েছেন যে অনেক বড়ো বড়ো তারকারা মহিলাদের হেনস্থা করেন৷ ইমরান তাঁদের নাম জানলেও বলতে পারবেন না৷ কারণ তাঁরা এতটাই প্রভাবশালী যে ইমরানকে কেউ বিশ্বাস করবে না৷