• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

মতলবের আলো ও ফেমাস ডেন্টাল কেয়ার সেরা কণ্ঠশিল্পীর ফাইনাল রাউন্ড

দর্শক মাতালো সেরা দশ খুদে কণ্ঠশিল্পী

প্রকাশ:  ২৪ জুলাই ২০১৮, ০৯:৫৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর জেলা শহরে এই প্রথমবারের মতো জেলার শতাধিক শিল্পী নিয়ে দৈনিক মতলবের আলো-ফেমাস ডেন্টাল কেয়ার 'সেরা কণ্ঠ শিল্পী' প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ড সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল ২৩ জুলাই সোমবার বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে এই প্রতিযোগিতার শেষ বিচারকার্য সম্পন্ন হয়। চাঁদপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক মতলবের আলো পত্রিকার গৌরবের ১১বছর পূর্তি উপলক্ষে সেরা কণ্ঠশিল্পী ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। প্রতিযোগিতার ইভেন্ট পার্টনার হিসেবে ফেমাস ডেন্টাল কেয়ার এবং সহযোগিতায় রয়েছে চাঁদপুর শিল্পী কল্যাণ সমিতি। ফাইনাল রাউন্ডে স্থানীয় ৪ জন সিনিয়র শিল্পী বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন।


ফাইনাল রাউন্ডের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ কুদ্দুস। দৈনিক মতলবের আলোর নির্বাহী সম্পাদক ডাঃ মাসুদ হাসানের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কেএম মাসুদের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান কালু ভূঁইয়া, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিএম শাহীন, অনুষ্ঠানের ইভিন্ট পার্টনার ফেমাস ডেন্টাল কেয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ রাশেদা আক্তার, চাঁদপুর জেলা ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একে আজাদ, সাধারণ সম্পাদক তালহা জুবায়ের। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের আহ্বায়ক তপন সরকার। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব ইয়াহিয়া কিরণ।

 


উৎসব উদ্যাপন পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হারুন আল রশীদের প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় ফাইনাল রাউন্ডের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন চাঁদপুরের এনএসআই-এর ডিডি ও কণ্ঠশিল্পী এবিএম ফারুক হোসেন, কণ্ঠ শিল্পী ইতু চক্রবর্তী, কৃষ্ণা সাহা ও তাহমিনা হারুন।

 


প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস বলেন, দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি আমাদের শিল্প সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তা না হলে দেশ পিছিয়ে যাবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে সঙ্গীত আমাদের অনেক অনুপ্রেরণা দিয়েছে। আমরা যখন যুদ্ধের মাঠে ছিলাম তখন বাঁচবো কি মরবো তা জানতাম না। ওই সময়ে সঙ্গীত আমাদের প্রেরণা দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমাদের সন্তানদের লেখাপড়ার পাশাপাশি শিল্প-সংস্কৃতির সাথে সম্পৃক্ত রাখতে হবে এবং তাদের বেশি বেশি করে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করাতে হবে। তাহলে তাদের মাঝে বড় হওয়ার প্রত্যয় সৃষ্টি হবে। দৈনিক মতলবের আলো যে আয়োজন করেছে তাতে আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। এই ধারাবাহিকতা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

 


সেরা কণ্ঠ প্রতিযোগিতায় ফাইনাল রাউন্ডে অংশ নেয়া শিল্পীরা হলো : কচুয়া উপজেলার কড়ইয়া ইউনিয়নের লুন্তি গ্রামের মোঃ আনোয়ার হোসেন সিকদার ও শামসুন নাহারের পুত্র দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র মোঃ সাইদুল আমিন সিফাত, চাঁদপুর শহরের আঃ করিম পাটওয়ারী সড়কের মুন্সেফপাড়ার অরুণ কুমার পাল ও শ্যামলী রাণী সরকারের কন্যা তনুশ্রী পাল। তনুশ্রী পাল চাঁদপুর সঙ্গীত নিকেতনের শিক্ষার্থী ও মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী। চাঁদপুর শহরের পুরাণ আদালত পাড়ার নজরুল ইসলাম রনি ও নাসরীন ইসলামের পুত্র সিরাজুম মুনির পান্থ। পান্থ চাঁদপুর সুরধ্বনী একাডেমীর সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষার্থী ও চাঁদপুর সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। চাঁদপুর শহরের মিশন রোডের দিলীপ রায় ও লিপি রায়ের কন্যা দিপা রায় চৈতী। চৈতী চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষার্থী ও মিশন স্কুলের ২য় শ্রেণীর ছাত্রী। চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়নের মৈশাদী গ্রামের আঃ লতিফ দেওয়ান ও সুলতানা পারুলের পুত্র গিয়াস উদ্দিন দেওয়ান। গিয়াস চাঁদপুর সুরধ্বনী একাডেমীর সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষার্থী ও হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। চাঁদপুর বাবুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ অঞ্চল এলাকার আবদুল মাজেদ ও শাহানারা বেগমের কন্যা মেহবুবা শাহরিন নিহা। নিহা চাঁদপুর শিশু একাডেমীর সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষার্থী ও মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। চাঁদপুর শহরের গুয়াখোলা রোড এলাকার আব্দুস সোবহান সরকার ও সেলিনা জাহানের কন্যা তাহসীন সোবহান বর্ষা। বর্ষা চাঁদপুর সপ্তসুর সঙ্গীত একাডেমীর শিক্ষার্থী ও মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। চাঁদপুর শহরের দক্ষিণ গুণরাজদী পাওয়ার হাউজ বালুরমাঠ এলাকার এমআই মমিন খান ও খান দিলারা মমিনের কন্যা উম্মে আয়েশা খানম শম্পা। শম্পা চাঁদপুর শিশু একাডেমীর সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষার্থী ও আল-আমিন একাডেমী ছাত্রী শাখার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। চাঁদপুর পুরাণবাজার পূর্ব শ্রীরামদী এলাকার শাহাদাত বেপারী ও মনোয়ারা বেগমের পুত্র কামরুল হাসান। কামরুল চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষার্থী ও পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং চাঁদপুর শহরের গুয়াখোলা রোডের রামেশ্বর ঘোষ ও তপু ঘোষের কন্যা তৃষা ঘোষ। তৃষা চাঁদপুর শিল্প একাডেমীর সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষার্থী ও মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী।

 


প্রতিযোগিতায় কচুয়া, ফরিদগঞ্জ, হাজিগঞ্জ, হাইমচর, বৃহত্তর মতলব ও সদর উপজেলার শতাধিক শিশু-কিশোর শিল্পীদের (১০ থেকে ২০ বছরের) নিয়ে চাঁদপুর সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র থেকে যাত্রা হয় সেরা কণ্ঠ শিল্পী প্রতিযোগিতার।

 


গত ৩ মার্চ প্রথম রাউন্ড, ১৪ মার্চ দ্বিতীয় রাউন্ড ও ২৭ এপ্রিল সেমি-ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সর্বাধিক পঠিত