• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

কক্সবাজারে নির্মিত হচ্ছে নতুন তিনটি সিনেপ্লেক্স

প্রকাশ:  ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৭:১৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

বিনোদনের সবচেয়ে বড় মাধ্যম হচ্ছে চলচ্চিত্র। আর চলচ্চিত্র দেখতে দরকার সুন্দর সিনেমা হল। আমাদের দেশে এই ‘সুন্দর’ সিনেমা হলের অভাবে অনেক ভালো ছবিই মুখ থুবড়ে পড়েছে। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা মনে করেন শুধু ভালো ভালো ছবি নির্মাণ করলেই হবে না। সেটা দেখার জন্য ভালো স্থান দরকার। বর্তমানে ‘সুন্দর’ সিনেমা হল বুঝতে মানুষ বোঝে সিনেপ্লেক্স, যা শুধু রাজধানী ঢাকাতেই আছে। মানে আপনাকে সুন্দর পরিবেশে বসে কোনো চলচ্চিত্র দেখতে হলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকাতেই আসতে হবে। অথচ সাধারণ মানুষ ছুটি পেলে সাধারণত ঘুরতে যায় পর্যটন নগরী কক্সবাজারে। কিন্তু সেখানে নেই কোনো সিনেপ্লেক্স।
এবার কক্সবাজারে বৃহত্তম বিনোদন কমপ্লেক্স নির্মাণ করতে যাচ্ছে বেসরকারি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান সোহানা গ্রুপ। ১১৩ কাঠা জমির ওপর নির্মিতব্য এই বিনোদন কমপ্লেক্সে সিনেমাপ্রেমীদের জন্য রাখা হচ্ছে তিনটি সিনেপ্লেক্স। সব বয়সী মানুষের বিনোদনের কথা মাথায় রেখে তৈরি হচ্ছে হোয়াইট স্যান্ড রিসোর্ট নামের এই কমপ্লেক্স। থাকছে বৃহৎ এক শপিংমল।কক্সবাজারে এবারই প্রথম সিনেপ্লেক্সে দর্শকরা একসঙ্গে দেশি ছবির পাশাপাশি বিদেশি ভাষার নতুন ছবি উপভোগ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সোহানা গ্রুপের কর্ণধার মো. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘পাঁচ লাখ বর্গফুটজুড়ে থাকছে ৩০০র বেশি রুমের এক পাঁচতারকা হোটেল। এর নাম হোয়াইট স্যান্ড রিসোর্ট। আমরা কক্সবাজারকে বদলে দিতে চাই। একজন মানুষ দুই-তিনদিনের জন্য কক্সবাজার গেলে তেমন কোনো বিনোদনকেন্দ্র খুঁজে পায় না। তাই সব বয়সী মানুষের কথা মাথায় রেখে কক্সবাজারে তৈরি হচ্ছে বৃহত্তম এই বিনোদন কমপ্লেক্স।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিনেপ্লেক্সের পাশাপাশি সেখানে থাকবে ২টি ফুডকোর্ট। আরও থাকছে আন্তর্জাতিক মানের কনফারেন্স ও মিটিং হল। শিশুদের কথা মাথায় রেখে থাকছে কিডস জোন, গেমস রুম, জুস বার ও ক্লাব। নতুন বছরে চালু হবে এই নতুন তিন সিনেপ্লেক্স।’
চলচ্চিত্রের সঙ্গে জড়িত সবাই বিষয়টাকে ভালোভাবেই দেখছেন। সিনেমা হল নিয়ে আন্দোলনে নামতে চেয়েছিলেন বর্তমান সময়ের আলোচিত নায়ক আরিফিন শুভ। তিনি বলেন, ‘আমি তো সিনেমা হল নিয়ে আন্দোলন করতে চেয়েছিলাম। এবার দেখছি আন্দোলনে নামার আগেই অনেক বেসরকারি উদ্যোক্তা সিনেপ্লেক্স নির্মাণ করতে যাচ্ছেন। যদি কক্সবাজারে এই তিনটি সিনেপ্লেক্স নির্মাণ হয় তবে এটা আমাদের সিনেমার জন্য পজিটিভ। মানুষ কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়ে আমাদের সিনেমা দেখবে।’সুত্রঃআমাদের সময়

সর্বাধিক পঠিত