মধ্যপ্রাচ্যেও নবাবের জয়জয়কার
চলতি বছরের সবচেয়ে ব্যবসাসফল ও দর্শকপ্রিয় ছবি ‘নবাব’। মুক্তির পর রীতিমতো রেকর্ড পরিমাণ ব্যবসা করে ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান অভিনীত এ ছবিটি। দেশের অধিকাংশ হলে টানা চার সপ্তাহ ছবিটি হাউসফুল চলে। এরপর কলকাতায় মুক্তির পর সেখানেও তৈরি করে ইতিহাস।
টালিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি আয়কারী সিনেমাগুলোর মধ্যে ৬ষ্ঠ স্থান অর্জন করে নেয় ‘নবাব’।
সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ‘নবাব’ পাড়ি দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে। স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো’র আন্তর্জাতিক পরিবেশনায় ৬ অক্টোবর আরব আমিরাত ও ওমানে মুক্তি পেয়েছে শাকিব-শুভশ্রী জুটির এ ছবি। আর মুক্তির পর সেখানেও ঝড় তুলেছে ‘নবাব’।
সিনেমা হলে হাউসফুল চলছে ছবিটি। প্রবাসী বাঙালিরা ছুটে আসছেন ছবিটি দেখার জন্য।
দুবাই থেকে বিষয়টি জানিয়েছেন আহমেদ ইখতিয়ার আলম পাভেল নামের এক প্রবাসী বাঙালি। যিনি স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো’র সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি জানান, অনেকে টিকিট না পেয়ে ফেরত গেছেন, অনেকে রাগ করেছেন কেন তাদের জন্য রিজার্ভ রাখিনি। আর যারা দেখতে গিয়েছেন, তারা বেশ উপভোগ করেছেন। অনেক সিনিয়রকেই শিশু হয়ে যেতে দেখেছি। পুরো অডিয়েন্স সব গানে নেচেছে, শিস বাজিয়েছে। আর হল থেকে বের হয়ে আনন্দময় অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন। কলকাতার একটা গ্রুপও এসেছে এবং তারাও খুব এক্সাইটেড। এমন অভিজ্ঞতা আমিরাতবাসী বাঙালিদের জন্য এবারই প্রথম।
বাংলাদেশের জাজ মাল্টিমিডিয়া ও কলকাতার এসকে মুভিজের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘নবাব’ পরিচালনা করেছেন জয়দীপ মুখার্জি। মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশি ছবির এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত ছবির নায়ক শাকিব খান।
তিনি বলেন, এটা আমাদের দেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জন্য অবশ্যই অনেক বড় খবর। মধ্যপ্রাচ্যে নবাবের সাফল্য শুধু আমার একার নয়। এ সাফল্য দেশের, ছবির পুরো টিমের, আন্তর্জাতিকভাবে যারা রিলিজ দিয়েছেন তাদের। কলকাতার অনেক বড় বড় তারকাও মধ্যপ্রাচ্যে এখনও পৌঁছাতে পারেননি। সেখানে নবাবের মতো একটি আন্তর্জাতিক মানের ছবি দর্শকদের মন কেড়েছে এটা অবশ্যই গৌরবের। সবাইকে চেষ্টা করতে হবে এ সাফল্য ধরে রাখার। ভালো ছবি নির্মাণ করার। তা হলে আমাদের ছবিও একটি বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগিতা করতে পারবে।
এ ছবিতে শাকিব ও শুভশ্রী ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন অমিত হাসান, খরাজ মুখার্জি, রজতাভ দত্ত, সব্যসাচী চক্রবর্তী প্রমুখ। বাংলাদেশি সিনেমা বিশ্ব বাজারে পৌঁছে দেয়ার লক্ষে কাজ শুরু করা স্বপ্ন স্কেয়ারক্রোর পক্ষ থেকে কিছু দিন আগেই জানানো হয়, বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের ছবি মুক্তি দেয়ার ব্যাপারটি। প্রথমত অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে আরব আমিরাত আর ওমানজুড়ে বাংলাদেশের সিনেমা দেখার উৎসব। একটানা চলবে ডিসেম্বর পর্যন্ত।