অনেক রাতে হৃতিকের দরজা নক করেছিল কঙ্গনা
অবশেষে মুখ খুললেন তিনি। তিনি অর্থাৎ হৃতিক রোশন। দীর্ঘ দিন ধরে কঙ্গনা রানাওয়াতের সঙ্গে মৌখিক যুদ্ধ চলছে অভিনেতার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির পর তা গড়িয়েছে আদালতের দরজা পর্যন্ত। বলিউডও দু’ভাগে ভাগ হয়েছে। কেউ হৃতিকের পক্ষ নিয়েছেন, কেউ বা কঙ্গনার। কঙ্গনা একাধিকবার প্রকাশ্যে এ নিয়ে কথা বলেছেন।
তবে হৃতিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বাইরে কথা বলেননি এত দিন। অবশেষে ভারতের এক বেসরকারি চ্যানেলে শনিবার কঙ্গনা ইস্যুতেই দীর্ঘ সাক্ষাত্কার দিয়েছেন অভিনেতা।
একটি বেসরকারি টিভিকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে প্রথমেই হৃতিক পরিষ্কার করে দেন, তিনি নিজেকে দোষী মনে করেন না। এই মুহূর্তে তিনি ভালো নেই। কারণ ব্যক্তি জীবনে অশান্তি, যুদ্ধ পছন্দ না হলেও এখন তাকে সেটাই করতে হচ্ছে। কিন্তু এতদিন পর মুখ খুললেন কেন?
অভিনেতা বলেন, ‘আমি ভয় পেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম কিছু বললে সেটা আক্রমণাত্মক হবে। কিন্তু চার বছর ধরে কেউ ক্রমাগত বাড়িতে, পরিবার-পরিজনদের দিকে ঢিল ছোড়ার পরও চুপ করে থাকলে সেটা দুর্বলতা হবে।’
জানুয়ারি, ২০১৬। কঙ্গনা প্রথম প্রকাশ্যে হৃতিককে ‘সিলি এক্স’(সাবেক প্রেমিক) বলেন। সেই থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। হৃতিক বলেন, ‘২০০৮-২০০৯-এ তার সঙ্গে প্রথম আলাপ হয়। তার সঙ্গে সম্পর্কটা সব সময়ই পেশাগত ছিল। কখনও বন্ধুত্বের নয়। আমি তো তাকে অভিনয়ের জন্য শ্রদ্ধাও করি।’
হৃতিকের কাছে জানতে চাওয়া হয়, কঙ্গনার দিক থেকে কি কোনো অন্য ইঙ্গিত পেয়েছিলেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘২০১২ সালে জর্ডানে একটা পার্টি ছিল। অনেক রাতে দরজা নক করেছিল সে। কথা বলতে চেয়েছিল। আমি খুব ক্লান্ত ছিলাম। আমি কথা বলতে না চাইলেও ওই নারী জোর করেছিল। পরে রাঙ্গোলি (কঙ্গনার বড় বোন) এসে বলেছিল, আমি যেন ওর বোনের সম্পর্কে খারাপ কিছু না ভাবি।’
হৃতিকের অভিযোগ, একটার পর একটা মিথ্যা বলেছেন কঙ্গনা। কখনও আমাদের বাগদান হয়েছে বলছে তো কখনও বা সামনে এনেছে ফটোশপ করা ছবি।
এত সবের পরও কেন পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেননি হৃতিক? তার উত্তর, ‘আমি এসব করতেই চাইনি। আমি সৃজনশীল মানুষ। আমার সন্তান আছে। এসবে আমার কোনো আগ্রহ নেই।’
গোটা সাক্ষাত্কারে একবারও কঙ্গনার নাম উচ্চারণ করেননি হৃতিক। ‘ওই নারী’, ‘ওই মেয়ে’, ‘ওই মানুষ’ এমনকি ‘রাঙ্গোলির বোন’ বলে উল্লেখ করেছেন ‘কঙ্গনা’কে।