আরবের সেরা দশ সফল ও প্রভাবশালী সুন্দরী
সুন্দরের প্রতি মানুষের আকর্ষণ চিরন্তন। আর সুন্দরের সঙ্গে যদি যোগ হয় মেধা, তাহলে সফলতা নিশ্চিত। তেমনই কিছু সফল আরব নারীদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে যারা সুন্দরতো বটেই, সেই সাথে নিজ নিজ পেশায় সফল। তাদের কেউ গায়িকা, মডেল, অভিনেত্রী অথবা আছে তিনটি গুণই। জেনে নিন সেরা দশ সফল ও প্রভাবশালী আরব সুন্দরী সম্পর্কে-
কাইরিন আবদেলনার
একাধারে তিনি মডেল, গায়িকা এবং নায়িকা। ৩৯ বছর বয়সী মেধাবী এই সুন্দরী লেবাননের নাগরিক। ১৯৯২ সালে মডেলিং ক্যারিয়ার শুরু করে একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। র্যাম্পে হেঁটেছেন নামী-দামি ডিজাইনারদের পোশাকে। তিনি বিশ্বের সেরা মুসলিম সুন্দরীদের একজন।
দালিদা খলিল
দালিদা খলিল একাধারে মডেল এবং গায়িকা। লেবাননে জন্ম তার। ২০০৭ সাল থেকে তিনি প্রায় ১৪টি ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন। শুধু সৌন্দর্য নয় বরং মেধা দিয়ে তিনি জয় করে নিয়েছেন একাধিক সফলতা। তাকে মিস নর্থ উপাধি দেয়া হয়েছিল এবং তিনি এই উপাধি একটানা ১২ বছর ধরে রেখেছিলেন।
ক্যারোল সামাহা
ক্যারোল একজন লেবানিজ নৃত্যশিল্পী, গায়িকা এবং অভিনেত্রী। সেইন্ট জোসেফ বিশ্ববিদ্যালয়তে তিনি অভিনয় এবং পরিচালনার ওপর পড়াশোনা করেছেন। তিনি একাধিক অ্যালবাম বের করেছেন যেগুলোর সবগুলোই সফলতার মুখ দেখেছেন। ২০১৩ সালে তিনি ‘এক্স ফ্যাক্টর’-এ বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পান। তার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও আছে।
হাইফা ওয়েহবে
হাইফা একজন লেবানিজ গায়িকা এবং অভিনেত্রী। মাত্র ১৬ বছর বয়সে তিনি ‘মিস সাউথ লেবানন’ শিরোপা জিতে নেন এবং ‘মিস লেবানন’ প্রতিযোগিতায় তিনি দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন। তার খোলামেলা পোশাকের জন্য তাকে আবেদনময়ী গায়িকা বলা হয় এবং বলা হয়ে থাকে তিনি কণ্ঠ এবং দেহের ভাষায় গান করেন। তার অসাধারণ সৌন্দর্যের জন্য তিনি ১০০টিরও বেশি ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ কন্যা হয়েছিলেন। পিপল ম্যাগাজিনের সেরা ৫০ জন সুন্দর মানুষের তালিকায় স্থান পেয়েছে তার নাম। তিনি অন্যতম সফল একজন তারকা।
নিকোল সাবা রোজ
নিকোল সাবা রোজ একজন গায়িকা এবং অভিনেত্রী। তার জন্ম লেবাননে। তিনি জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘দ্য ফোর ক্যাটস’-এর একজন সদস্য ছিলেন। পরবর্তীতে ব্যান্ড থেকে বের হয়ে এসে একক শিল্পী হিসেবে সাফল্য অর্জন করেন। ‘সায়িদাতি’ ম্যাগাজিন থেকে তিনি সেরা গায়িকার পুরস্কারও জিতেছেন। তিনি অনেকগুলো ছবিতে অভিনয় করেছেন এবং প্রশংসিত হয়েছেন। তার প্রথম ছবি ‘দ্য ড্যানিশ এক্সপেরিয়েন্স’ বক্স অফিসে ব্যাপক সাড়া জাগায়।
মারিয়াম ফারিস
অসাধারণ সোনালি রঙ এর কোঁকড়া চুলের জন্য মারিয়াম ফারিস বেশ জনপ্রিয়। তিনি লেবানিজ গায়িকা এবং এন্টারটেইনার। তার প্রথম প্রকাশিত একক অ্যালবাম ‘বেটউল’ প্রচুর জনপ্রিয়তা পায়। ২০১৪ সালে তার অভিনয়ে অভিষেক হয়।
ডোরা জাররোউক
তিউনিসিয়ান অভিনেত্রী এবং মডেল ডোরার জন্ম ১৯৮০ সালে। অভিনেত্রী হওয়ার আগেই তিনি মডেলিং এর মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। একাধিক ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ কন্যা হয়েছেন তিনি। এছাড়াও তিনি তিউনিসিয়ার সেরা সুন্দরী এবং সেরা আরব সুন্দরী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
তারা এমদাদ
মিশরের মডেল এবং অভিনেত্রী তারার জন্ম ১৯৯৩ সালে। ২০১০ সালে তিনি ‘মিস টিন ইজিপ্ট’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন এবং দ্বিতীয় হয়েছিলেন। একই বছর তিনি ‘মিস আফ্রিকা’র মুকুট জিতেছিলেন। তিনি ৫০টিরও বেশি ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ কন্যা হয়েছেন। এর মাঝে ‘এলি’ ম্যাগাজিনেই তিনি ৪ বার প্রচ্ছদ কন্যা হয়েছেন।
মায়া দিয়াব
৩৩ বছর বয়সী এই মডেল, গায়িকা এবং স্টাইল আইকনও ‘দ্য ফোর ক্যাটস’ গ্রুপের সদস্য ছিলেন। মায়াকে মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী তারকাদের একজন বলা হয়ে থাকে। তিনি একাধিক অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন। ‘ম্যারি ক্ল্যারি’র-সহ একাধিক হাই প্রোফাইল ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ কন্যা হয়েছেন আবেদনময় এই স্বর্ণকেশী তারকা।
ন্যান্সি আজরাম
ন্যান্সি আজরাম একজন লেবানিজ মাল্টি প্লাটিনাম রেকর্ডিং আর্টিস্ট। ১৯৮৩ সালে লেবাননের বৈরুতে জন্ম নিয়েছেন তিনি। তিনি আরবের সবচাইতে সফল এবং ধনী তারকাদের একজন। ফেসবুকে তার ২০ মিলিয়নের বেশি ভক্ত আছে। তার সৌন্দর্য এবং মেধার কারণে তিনি কোকাকোলার প্রথম এবং একমাত্র নারী স্পোক-ম্যান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। ওয়ান্ডার লিস্ট।