হাজীগঞ্জে ইয়াবাসহ অন্যকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেরাই আটকে গেলো!
![](/assets/news_photos/2024/03/18/image-34120-1710737060.jpg)
![](https://chandpurpost.com/templates/web-v1/images/icon_print_new.png?v=1.1)
হাজীগঞ্জে ইয়াবাসহ অন্যকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেরাই ফেঁসে গিয়ে ২৫ পিস ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে আটক হলো। এরা হলেন অপু (৩০) ও মোতালেব (৩০) নামের দুই যুবক। ১৬ মার্চ শনিবার সকালে পৌর ১১নং ওয়ার্ডের রান্ধুনীমুড়া বৈষ্ণব বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হাজার হাজার মানুষ ঘটনাস্থলে জড়ো হয়। আটককৃত মোতালেব একই গ্রামের মুন্সী বাড়ির সামছুল হকের ছেলে ও অপু আলাবক্স মিয়া বাড়ির মাসুদ রানার ছেলে।
থানা সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে রান্ধুনীমুড়া গ্রামের বৈষ্ণব বাড়ির মোস্তফার ছেলে শুভ (১৯)-এর বসতঘর সংলগ্ন বাথরুমের ছাদে ইয়াবা রাখার সময় মোতালেবকে আটক করে পুলিশ। এ সময় মোতালেবের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ওই বাড়ির সামনে থেকে তাৎক্ষণিক অপুকে আটক করে পুলিশে খবর দেয় শুভসহ স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রউফ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ২৫টি ইয়াবা জব্দসহ অপু ও মোতালেবকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
আটককৃত মোতালেব বলেন, অপু আমাকে বলেছে বৈষ্ণব বাড়ির শুভদের টয়লেটের ছাদে একটি প্যাকেট রয়েছে। ওই প্যাকেটটি যেন আমি নিয়ে আসি। তার কথা মতো আমি ওই বাড়িতে গিয়ে টয়লেটের ছাদ থেকে প্যাকেটটি নিলে শুভরা আমাকে আটক করে।
এ দিকে মোতালেবের কথা অস্বীকার করে অপু বলেন, আমি বাড়ির সামনে ছিলাম। এ সময় শুভসহ কয়েকজন লোক আমাকে ধরে নিয়ে আসে। তারা (শুভ) মোতালেবসহ নাটক করে আমাকে ফাঁসাচ্ছে।
এ বিষয়ে শুভ বলেন, শুক্রবার রাতে পুলিশ আমাদের ঘরে তল্লাশি চালায়। তল্লাশির সময় আমার বড় ভাইসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য ঘরে ছিলেন। এদিকে পুলিশ আসার আগে ও পরে আটককৃত অপু আমাদের বাড়িতে কয়েকবার আসা-যাওয়া করে। তখন আমরা কেউ বিষয়টি বুঝতে পারিনি। আজ (শনিবার) সকালে মোতালেবকে যখন ইয়াবাসহ আটক হয় তখন বিষয়টি বুঝতে পারি। আমাদেরকে ফাঁসানোর জন্য কাউন্সিলর সাদেক তার আত্মীয়দেরকে দিয়ে ইয়াবা ঢুকিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে।
এ সময় শুভ অভিযোগ করে আরো বলেন, পৌরসভার ১১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাদেকুজ্জামান মুন্সীর সাথে আমার বিরোধ রয়েছে। এ ঘটনায় টেলিভিশন ও পত্র-পত্রিকায় নিউজ হয়েছে। নিউজ হওয়ার পর সে (কাউন্সিলর) আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যসহ যারা টিভিতে বক্তব্য দিয়েছে, তাদেরকে হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। সে এখন আমাদেরকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। এখন আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পৌরসভার ১১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ সাদেকুজ্জামান মুন্সির সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
ইয়াবাসহ দুই যুবককে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।