• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

মতলব কাশিমপুর উবি সভাপতির বিরুদ্ধে অর্থ বাণিজ্য ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ

‘স্ত্রীর চাকুরির জন্য জমি বিক্রি করে টাকা দিয়েও চাকুরি হয়নি’

প্রকাশ:  ২৩ আগস্ট ২০২২, ১১:০৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

মতলব দক্ষিণ উপজেলার কাশিমপুর পুরাণ উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতির বিরুদ্ধে  অর্থ বাণিজ্য ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর শিপন মিয়া নামে এক ব্যক্তি লিখিতভাবে এই অভিযোগ করেছেন।
জানা যায়, ৯ আগস্ট কাশিমপুর পুরাণ উচ্চ বিদ্যালয়ে ১ জন আয়া, ১ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী, ১ জন অফিস সহায়ক ও ১ জন কম্পিউটার ল্যাব অপারেটরসহ মোট চারটি পদের মধ্যে তিনটি পদে নিয়োগ পরীক্ষা চাঁদপুর মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এদের মধ্যে আয়া পদে ৫ জন আবেদন করে ৪ জন, পরিচ্ছন্ন কর্মী পদে ৪ জন আবেদন করে ৩ জন এবং অফিস সহায়ক পদে ৮ জন আবেদন করে ৭ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। আর কম্পিউটার ল্যাব অপরেটর পদে ৫ জনের মধ্যে ২ জন উপস্থিত থাকায় তাদের এই পদে পরীক্ষা স্থগিত করা হয় ।
তিনটি পদে অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হয়েছেন তারা হলেন আয়া পদে হাফসা বেগম,  অফিস সহকারী পদে উচমান গনি ও পরিচ্ছন্ন কর্মী পদে সাখাওয়াত হোসেন (সভাপতির আপন ভাতিজা)। এর মধ্যে হাফসা বেগমকে চাকুরি দিতে তার পরিবারের কাছ থেকে সভাপতি ৩ লক্ষ টাকা নিয়েছে বলে জানান এলাকার একাধিক ব্যক্তি। তারা আরো জানান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আঃ রহিম খানের সহযোগিতায় বিদ্যালয়ের সভাপতি বিল্লাল হোসেন এই নিয়োগে মোটা অংকের টাকার বাণিজ্য করেছেন ।
আয়া পদে পরীক্ষার্থী তানজিলা আক্তারের স্বামী শিপন জানান, আমার স্ত্রীকে চাকুরি দেয়ার কথা বলে বিদ্যালয়ের সভাপতি বিল্লাল হোসেন আমার কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকা নিয়েও চাকুরি দেননি। আমি স্ত্রীর চাকুরির জন্যে জমি বিক্রি করে টাকা দিয়েছি। এছাড়াও সাদ্দাম নামে একজনের কাছ থেকে ৮৫ হাজার টাকা নিয়েছিলেন অফিস সহায়ক পদে চাকুরি দেয়ার কথা বলে । এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রহিম খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিপন নামে একজন লিখিত অভিযোগ করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা হক মহোদয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্তের পর জানা যাবে।