হাজীগঞ্জে বাপ্পী হত্যায় নানা বিষয়ে তদন্তে পুলিশ!
হাজীগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে আবু বকর বাপ্পী (৩২) হত্যায় নানামুখী বিষয় নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। বাপ্পী হত্যায় তার বাবা আলহাজ্ব সেলিম মিয়া গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতদের আসামী করা হয়েছে। এদিকে হাজীগঞ্জে যারা বাপ্পীকে চিনে জানে এমন বহুজনে তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বাপ্পী হত্যার বিচার চেয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর বাপ্পী নিখোঁজ হয়, আর গত সোমবার বাসা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে একটি পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ।
থানা পুুলিশ সূত্র জানায়, নিহত বাপ্পীর বাবা অজ্ঞাতদের আসামী করে মঙ্গলবার দুপুরে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর থেকে এ বিষয়ে ক্লু খুঁজে বের করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এদিকে বাপ্পীর মুঠোফোনের কললিস্ট পরীক্ষাসহ প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে বলে বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে। এছাড়াও বাপ্পীর লাশ-উদ্ধারস্থলে পাওয়া ৩টি পরিত্যক্ত জুতা ও টি-শার্টের ফরেনসিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে বাপ্পী মরেনি তাকে মারা হয়েছে, বাপ্পী আত্মহত্যা করেনি তাকে হত্যা করা হয়েছে, বাপ্পী হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করা হোক-এমন নানা দাবি নিয়ে অনেকে তাদের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন রনি চাঁদপুর কণ্ঠকে মুঠোফোনে জানান, আমরা বেশ ক’টি বিষয়কে সামনে রেখে তদন্ত করছি। তবে সহসা ইন্টারেস্টিং বিষয় বেরিয়ে আসতে পারে বলে আশা করছি।
উল্লেখ্য, হাজীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও ব্যবসায়ী আলহাজ্ব সেলিম মিয়ার বড় ছেলে প্রকৌশলী ও ব্যবসায়ী আবু বকর বাপ্পী গত শুক্রবার হাজীগঞ্জ থেকে নিখোঁজ হন। এর পরের দিন তার বাবা নিখোঁজ ডায়েরি করেন। ডায়েরি করার দুদিন পর হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সড়কের হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন রান্ধুনীমুড়া এলাকার সোলেমান বেপারী বাড়ির পুকুর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। দুই সন্তানের জনক বাপ্পী বাবার ব্রিক ফিল্ডের ব্যবসা দেখাশোনা করতেন।