কচুয়ায় শিশু ধর্ষণের দু মাস অতিবাহিত হলেও ধর্ষক এখনো অধরা
কচুয়া দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ধর্ষণের দু'মাস অতিবাহিত হলেও আজও ধর্ষিতার মেডিকেল রিপোর্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল থেকে কচুয়া থানায় আসেনি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মামুনুর রশিদ মামুন মেডিকেল রিপোর্ট না পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি শীঘ্রই হাসপাতালে গিয়ে রিপোর্টটি নিয়ে আসবো এবং যথাসম্ভব দ্রুততম সময়ের মধ্যে মামলার চার্জশীট দাখিল করবো।
উপজেলার খিলমেহের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিশুটির ধর্ষক তার নিজ বাড়ির দুঃসম্পর্কীয় ষাটোর্ধ্ব বয়সী দাদা জামাল হোসেন দীর্ঘ সময় পালিয়ে থাকার পর বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে এখন এলাকায়। গত ১৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে শিশুটিকে ললিপপ খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত গৃহে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের শিকার শিশুটি রক্তাত্ব অবস্থায় কাঁদতে কাঁদতে ঘরে এসে তার মাকে ঘটনা জানালে তাকে দ্রুত কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ েএনে ভর্তি করানো হয়। পরে তার অবস্থা অবনতি দেখে ওইদিন রাত ১১টার দিকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
শিশুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আসিবুল আহসান ও গাইনী ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা সেবিকা কুহিনুর বেগম শিশুটির ধর্ষণের আলামত পাওয়ার বিষয়টি তার পরিবারের সদস্যদের ও সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। এদিকে এ শিশু ধর্ষণকারী জামাল হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে কচুয়ায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপায়ন দাস শুভ ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মৃনালীনি কর্মকার শিশুটির বাড়ি গিয়ে তার খোঁজখবর নেন ও আইনের আওতায় ধর্ষণকারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে পরিবারের সদস্যদেরকে আশ্বস্ত করেন।
ধর্ষণ ঘটনার দুই মাস অতিবাহিত হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও মেডিকেল রিপোর্ট থানায় না আসায় ও মামলার অগ্রগতি না হওয়ায় ধর্ষক জামাল কি আইনের ফাঁক ফোকরে রক্ষা পেয়ে যাবে এই প্রশ্ন এখন এলাকাবাসীর মুখে মুখে।