ফরিদগঞ্জে ভাসুরের অস্ত্রের আঘাতে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী-কন্যা রক্তাক্ত জখম আটক ১
ফরিদগঞ্জে ভাসুর মামুনের অস্ত্রের আঘাতে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সাথী ও কন্যা আরিয়ান রক্তাক্ত জখমের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় সাথীর বাবা ইলিয়াস বাদী হয়ে মামলা করেন। পুলিশ মামলার প্রধান আসামী মামুনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, স্বামী বিদেশ যাওয়ার পর থেকে ঠিকমতো ভরণ পোষণ না করায় বাবার প্রদত্ত ধারের টাকা চাইতে গিয়ে গৃহবধূ সাথী ও কন্যা আরিয়ান কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার শিকার হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৮নং পাইকপাড়া ইউনিয়নের সাছিয়াখালী গ্রামে। ২০১৬ সালে পারিবারিকভাবে একই গ্রামের ইলিয়াস আলীর মেয়ে সাথীর সাথে মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে আকরাম হোসেন লিয়নের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের সংসারে অশান্তি চলে আসছে। তাদের সংসারে আরিয়ান নামের ৩ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পরপরই আকরামের শ্বশুর ইলিয়াস প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ করে জামাইকে সৌদিআরব পাঠান। কথা ছিলো পরবর্তীতে সে টাকাগুলো ফেরত দিবে। কিন্তু আকরাম তার কথা রাখেনি। সাথী তার স্বামীর কাছে বাবার টাকা চাইলে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সাথীর ভাসুর মামুন এবং শাশুড়ি নিলুফা বেগম তাকে বেদম মারধর করে এবং জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ঐ দিনই সাথী আক্তার জানের নিরাপত্তা চেয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে। জিডি করে সে বাপের বাড়ি চলে যায়।
জিডি করাতে তার ভাসুর মামুন আরো ক্ষিপ্ত হয়। তাই সে গত ১২ অক্টোবর স্বামী আকরামের মাধ্যমে সাথীকে ফোন দেয়। আকরাম তার স্ত্রীকে বলে, মা গুরুতর অসুস্থ। তাই তাকে বাড়ি আসার জন্য অনুরোধ করে। সাথী শাশুড়ির অসুস্থতার কথা শুনে দ্রুত স্বামীর বাড়িতে যায়। এদিকে মামুন সাথীকে আঘাত করার জন্য পূর্ব থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখে। সাথী বাড়ি যাওয়ার পর ভাসুর মামুন ও তার সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি সাথী এবং তার ৩ বছরের মেয়ে সন্তানকে আঘাত করে। তাদের ডাক-চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন আসলে মামুনসহ তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। পরে সাথীর বাবা ইলিয়াস খবর পেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তার মেয়ে এবং নাতনিকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি তাদেরকে উদ্ধার করে দ্রুত চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাথীর বাবা ইলিয়াস বাদী হয়ে গত ১৪ অক্টোবর মামুন হোসেন শাওন, মোঃ বাচ্চু মিয়া, ফাতেমা বেগম, নিলুফা বেগম ও আকরাম হোসেন অয়নকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় গত বৃহস্পতিবার ১নং আসামী মোঃ মামুন হোসেন শাওনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন। এদিকে বাকি আসামীরা এখনো প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছেন বলে দাবি করছেন সাথীর বাবা ইলিয়াস।