হাজীগঞ্জে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে হামলা-মামলা আহত ৩
হাজীগঞ্জে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ হামলায় কমপক্ষে ৩ জন আহত হয়েছেন। আহতদের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। আহতরা হলেন সবুজ বকাউল (২৬), আলামিন বকাউল (২২) ও রুবেল বকাউল (৩৪)। মারাত্মক আহত সবুজ বকাউল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বর্বরোচিত ঘটনাটি ঘটে গত রোববার উপজেলার দ্বাদশগ্রাম ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের বকাউল বাড়িতে। আহতরা ওই বাড়ির মিজান বকাউলের ছেলে।
এই ঘটনায় হাজীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন রুবেল বকাউল। অভিযোগে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। নামীয় বিবাদীরা হলেন বকাউল বাড়ির মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৫০), মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে ফিরোজ (২৫), শাহানুর (২৭) ও ফয়সাল (১৮)সহ একই গ্রামের মোল্লা বাড়ির সিরাজ মোল্লার ছেলে হারুন মোল্লা (৪০)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সম্পত্তিগত বিরোধে ওই দিন সকালে বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দেয় উল্লেখিত বিবাদীরা। পরের দিন রোববার সকালে অভিযোগের নামীয় বিবাদীগণসহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীদের সাথে নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রসহ বাদীর বসতঘরের সামনে সবুজ বকাউল ও আলামিন বকাউলের উপর হামলা করে।
খবর পেয়ে বাদী রুবেল ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে তাকেও মারধর করেন বিবাদীরা। পরে পরিবারের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় চেঙ্গাতলী বাজারে ডাঃ এমজি ফেরদৌস হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে গুরুতর আহত সবুজ বকাউলের শারিরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হয় আলামিন ও রুবেল প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। সবুজ বর্তমানে ডাঃ এম.জি ফেরদৌস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এই ঘটনায় বাদীর পরিবার নিরাপত্তাহীনতা ভুগছেন বলে চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান রুবেল বকাউল। এ দিকে মারামারি বিষয়টি স্বীকার করে অভিযোগের বিবাদী আনোয়ার হোসেন বলেন, সম্পত্তিগত বিরোধের জেরে তার সম্পত্তি দখলের চেষ্টাসহ বেশ কয়েকটি কলাগাছ কেটে ফেলেন বাদীরা। বিষয়টি তিনি এলাকার লোকজনকে দেখাতে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে যাওয়ার পর সবুজ, আলামিনসহ তাদের পরিবারের সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দু'পক্ষের মারামারির ঘটনা ঘটে। মারধরে আমার ভাতিজা ফিরোজ ও ফাহিম আহত হয়েছেন। তারা হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ েচিকিৎসা নিয়েছে।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন। সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।