নোয়াখালীর ডোবায় মিললো চাঁদপুরের মানসিক প্রতিবন্ধী নারীর বস্তাবন্দী লাশ
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় ডোবা থেকে চাঁদপুরের এক মানসিক রোগী নারী (২০)-এর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় উপজেলার ৩নং নোয়ান্নই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড করমুল্যাহপুর গ্রামের একটি ডোবা থেকে পুলিশ এ লাশটি উদ্ধার করে।
মেয়েটির নাম রহিমা আক্তার ওরফে বুবি। সে চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার মধ্য শ্রীরামদী কবরস্থান মহল্লার বাসিন্দা জনৈক শাহ আলম বাবুর্চি ও শিউলী বেগমের মেয়ে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মেয়েটির মৃতদেহের মুখম-ল পেয়ে স্থানীয়রা তাকে চিনতে পেরে বুধবার সন্ধ্যায় তার বাবা-মাকে খবর দেয়। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নোয়াখালী থেকে রহিমার লাশ অ্যাম্বুলেন্সে এলাকায় পেঁৗছলে শতশত নারী পুরুষ সেখানে জড়ো হয় এবং সবাই আফসোস করে। বাদ আসর মধ্য শ্রীরামদী কবরস্থানে মেয়েটিকে দাফন করা হয়।
সুধারাম মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) এমদাদুল হক জানান, করমুল্যাপুর গ্রামের একটি ডোবায় বস্তাবন্দী এক নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে নোয়ান্নই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য মহিন থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ সকাল ১০টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্যে এ লাশ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি জানান, নিহত নারীর গলা কাটা ছিলো ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে মঙ্গলবার রাতের কোনো একসময় তাকে গলা কেটে হত্যা শেষে বস্তাবন্দী করে ডোবায় ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। তবে তাৎক্ষণিক ওই যুবতীর নাম ঠিকানা জানতে পারেনি পুলিশ। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে নিহত রহিমার এলাকা সূত্রে জানা যায়, বাবুর্চির দুই মেয়ে দুই ছেলের মধ্য রহিমা সবার বড়। জন্মগতভাবে সে মানসিক রোগী এবং তোতলিয়ে কথা বলতো। বাবা-মাকে কিছু না বলে প্রায়ই সে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়।
প্রতিবেশী অটোবাইক চালক হারুন মিজি জানান, গত ২৭ সেপ্টেম্বর রোববার ভোরবেলায় মেয়েটিকে তারা এক নজর শহরে দেখেছে। পরে মৃত্যুর খবর পায়।
ধারণা করা হচ্ছে, ওইদিন ভোরে চট্টগ্রামগামী মেঘনা ট্রেনে চড়ে মেয়েটি প্রথমে লাকসাম গিয়ে পরে সেখান থেকে ট্রেনে নোয়াখালী গিয়েছে। সেখানে কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা ধর্ষণের পর মানসিক প্রতিবন্ধী এ মেয়েটিকে হত্যা করে।