• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

অপ্রীতিকর ঘটনায় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জনরোষানলে

প্রকাশ:  ১১ জুলাই ২০২০, ১০:৫১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

মতলব উত্তর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ফারুক হোসেন তথ্য সেবার অফিসে অপ্রীতিকর ঘটনায় জনরোষালনে পড়ে ৫ ঘন্টা বন্দী ছিলেন। এ ঘটনায় মতলব উত্তরের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আঃ মান্নান তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যান বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এছাড়া ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে তার অফিসের সহকর্মীরা নানা অপকর্মের কারণ উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।


ঘটনা সূত্রে জানা যায়, মতলব উত্তর উপজেলা তথ্যসেবা অফিসের আপা তাসলিমা আক্তারের অফিসে আপত্তিকর অবস্থায় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ ফারুক হোসেনকে পাওয়া যায়। গত ৭ জুন সন্ধ্যা ৬ টায় ঘনিয়ারপাড় তথ্যসেবা অফিসে ঢুকে দীর্ঘ সময় না বের হওয়ায় স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশন মতলব উত্তর উপজেলার ফিল্ড সুপারভাইজার মোঃ শরীফ হোসেন মুন্সি জানান, আমরা ওয়ালী উল্লাহ সরকার থেকে তার বাড়িটি ভাড়া নেই। নিচতলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আর ২য় তলা তথ্যসেবার। আমাদের অফিসে ডাঃ ফারুক হোসেনের আাসা-যাওয়া ছিল। ঘটনার দিন তিনি সন্ধ্যা বেলায় আসায় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে আমাকে জানান। পরে বিষয়টি আমি সাথে সাথে ইউএনও স্যারকে জানাই। ওই এলাকার বিল্লাল ও মারুফ জানান, ফারুক হোসেন প্রাণিসম্পদের ডাক্তার। তার রাতের বেলা তথ্য অফিসে কী? প্রাণিসম্পদের অফিস সহায়ক গৌতম সরকার, ড্রেসার ফারুক আহম্মদ, পলাশ কুমার দাস, বিল্লাল হোসেন, মোঃ ওয়ালী উল্লাহ, মোবারক হোসেন ও নিজাম উদ্দিন সহ অফিস স্টাফরা ডাঃ ফারুকের বিরুদ্ধে নারীঘটিত, প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ এবং নানা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আমরা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বরাবর অভিযোগ দিয়েছি। তিনি এই অফিসে এসে একের পর এক অপকর্ম করেই চলছেন।

 


এ বিষয়ে কথা হয় জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ বখতিয়ার উদ্দিনের সাথে। তিনি জানান, ডাক্তার ফারুক হোসেন একজন ক্যাডার অফিসার। করোনা দুর্যোগ মহামারীকালে তিনি এমন ঘটনায় লিপ্ত হবেন শুনে অবাক। আমার মতলব উত্তর উপজেলার ক'জন কর্মকর্তা তার বিভিন্ন অনিয়ম সম্পর্কে আমার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। আমি এই অভিযোগটি খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত কমিটি করছি। তারপর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি।

এ রিপোর্ট লেখা পযন্ত ডাঃ মোঃ ফারুক হোসেনের মুঠোফোনে (০১৭১৯-১৫০৭৭৮) তাকে বার বার কল দিলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য সংগ্রহ করা যায়নি।

সর্বাধিক পঠিত