• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ফরিদগঞ্জে গৃহবধূকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশ:  ০৯ জুলাই ২০২০, ১২:১৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৪নং সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের টোরামুন্সিরহাট এলাকার গৃহবধূ আবিদা সুলতানা মুক্তি (২৪) কে শ্বশুর পরিবারের লোকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। মুক্তির পরিবার বলছে, তারা হত্যার ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে একটি স্থানীয় দালাল চক্র কাজ করছে।

মঙ্গলবার গভীর রাতে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। হত্যার শিকার মুক্তি চাঁদপুর শহরের ৫নং ওয়ার্ড রঘুনাথাপুর গ্রামের আবুল হোসেন হাজীর মেয়ে। তার আয়মান নামে ৪ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

মুক্তির স্বামী টোরা মুন্সিরহাট এলাকার ইছহাক বেপারী বাড়ির মৃত শাহাদাত বেপারীর ছেলে আলাউদ্দিন বেপারী। সে মুন্সিরহাট বাজারে একটি খাবার হোটেলে কাজ করে।

ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক নূরুল ইসলাম জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে রাত ১২টার পরে ঘটনাস্থলে যাই। সেখান থেকে রাত ৩টায় মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে ঘটনার রহস্য জানা যাবে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার আলামত দেখা গেছে। তবে ওই গৃহবধূর সাথে স্বামীর পরিবারের কলহ ছিলো বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গৃহবধূ মুক্তির বড় ভাই মাছুম হাজী জানান, তার বোনের সাথে গত ৬ বছর আগে আলাউদ্দিন বেপারীর সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় তাকে ব্যবসা করার জন্য নগদ ২লাখ টাকা এবং বোনকে স্বর্ণ-গহনা দিয়ে সাজিয়ে দেয়া হয়। তাদের সংসার ভালোই চলছিলো। কিন্তু এক সময় মুক্তির সাথে তার শ্বশুর পবিরারের ঝগড়া-বিবাদ শুরু হয়। তারা বিভিন্নভাবে আমার বোনকে নির্যাতন করে। এসব কারণে আমরা পারিবারিকভাবে আলাউদ্দিন ও তার অভিভাবকদেরকে বুঝিয়েছি। মঙ্গলবার বিকেলে হত্যার ঘটনা হলেও আমাদেরকে রাত ১টায় জানানো হয়েছে। ঘটনার সময় মুুক্তির শাশুড়ি জাকিয়া বেগম আমার ভাগি্ন আয়মানকে নিয়ে অন্য বাড়িতে চলে যায়। এতেই আমরা সন্দেহ করেছি মুক্তিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা ফরিদগঞ্জ থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিব উদ্দিন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ৮ জুলাই দুপুরে ময়না তদন্তের জন্যে মরদেহ চাঁদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। গৃহবধূর পরিবার থেকে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ করা হয়নি।

সর্বাধিক পঠিত