হাজীগঞ্জের শিশু আরাফ হত্যায় চট্টগ্রামে বাসার দারোয়ান মাসহ আটক
হাজীগঞ্জের শিশু আরাফ (২) হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আরাফদের ভাড়া বাড়ির দারোয়ানকে তার মাসহ আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে বাকলিয়া থানা পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে আটককৃতদের চট্টগ্রাম ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি নেয়া হয় বলে জানান বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ নেজাম উদ্দিন।
আটককৃতরা হলেন : চট্টগাম মহানগরের ১৯নং ওয়ার্ড ম্যাচ ফ্যাক্টরী এলাকার সৈয়দ মুনছুর আলী সড়কের নুরুল আমিনের ৭ তলা বাড়ির দারোয়ান হাছান ও তার মা।
গত রোববার বিকেলে নিখোঁজের তিন ঘন্টা পর ভবনের ছাদের ট্যাংকিতে শিশু আরাফের মৃতদেহ পাওয়া যায়। সোমবার রাতে হাজীগঞ্জ উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর ইউনিয়নের তারালিয়া গ্রামে আরাফের দাফন করা হয়।
মঙ্গলবার শিশু আরাফের বাড়ি হাজীগঞ্জ উপজেলার ৯নং গন্ধর্ব্যপুর ইউনিয়নের তারালিয়া গ্রামের মিজি বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে শিশুটির পরিবারের কান্নার রোল তখনো থামেনি। শিশু আরাফের মা-বাবা, নানা, দাদা, ফুফু ও খালাসহ স্বজনরা হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
শিশু আরাফের বাবা আবদুল কাইয়ুম বলেন, বাড়ির দারোয়ান ও তার মা ওই ভবনের সাত তলায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতো।
তিনি বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জের উদ্বৃতি দিয়ে আরো জানান, শিশু আরাফ বাড়ির দারোয়ানের ঋণের বলি হয়ে খুন হয়। পুলিশের কাছে দেয়া জবানবন্দি থেকে বেরিয়ে এসেছে ২ বছরের শিশু আরাফ হত্যার রহস্য।
জানা গেছে, আরাফদের ভাড়া বাড়ির দারোয়ান হাছানের প্রায় ১৫ লাখ টাকা ঋণ আছে। পার্শ্ববর্তী ফরিদ নামের একজনের পরামর্শে হাছান ও তার মা শিশু আরাফকে হত্যা করে। তাদের উদ্দেশ্য শিশু আরাফকে খুন করলে বাড়ির মালিক নূরুল আমিন মামলায় পড়ে কিছু টাকা পয়সা খরচ হবে। ঐ খরচ হাছানের হাতের উপর দিয়ে হলে কিছুটা লাভবান হবে হাছান। সেই টাকায় হাছানের পরিবারের ঋণ শোধ করতে পারবে। এ থেকেই এমন জঘন্য ঘটনা ঘটনোর কথা স্বীকার করে দারোয়ান হাছান।
উল্লেখ্য, গত বোরবার বিকেলে নিজ বাসা থেকে নিখোঁজ হয় আরাফ। শিশুটিকে না পেয়ে তার বাবা বাকলিয়া থানায় অভিযোগের কিছু পরে আরাফদের ভাড়া বাড়ির পানির ট্যাংক থেকে আরাফের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপরে নিয়মিত মামলা নিয়ে আরাফের ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার সন্ধ্যায় আরাফের লাশ গ্রামের বাড়ি হাজীগঞ্জের তারালিয়ায় এনে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।