করোনাকালীন সময়েও বন্ধ নেই এনজিও ও মাল্টিপারসগুলোর কিস্তি আদায়
ঋণের কিস্তির বোঝা মাথায় নিয়ে স্কুল শিক্ষকের আত্মহত্যা
কিস্তির বোঝা মাথায় নিয়ে শাহরাস্তিতে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক গভীর রাতে নিজ বাড়িতে আত্মহত্যা করেছেন। শাহরাস্তি থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধারের পর জানতে পারে তিনি ঋণগ্রস্ত ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, বিভিন্ন এনজিওর চাপ সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, টামটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহবুবুর রহমান মামুন (৪২) গত ৩০ মে গভীর রাতে তার নিজ বাড়ি আজাগরা গ্রামের মোল্লাবাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। রাতে পরিবারের সদস্য ও বাড়ির লোকজন জানতে পেরে তাকে উদ্ধার করে। সকালে শাহরস্তি থানায় সংবাদ দিলে শাহরাস্তি থানার ওসি (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। গলায় ফাঁস দেয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে লাশ মর্গে প্রেরণ করেন।
শাহরাস্তি থানার ওসি (তদন্ত) জানান, মামুন মৃত্যুর পূর্বে একটি চিরকুট লেখে যান। তিনি তার মৃত্যুর জন্যে কাউকে দায়ী করে যাননি। তার সন্তান ও তার সরকারি অর্থ পাওয়ার জন্যে সহকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন। চিরকুটটি পুলিশ উদ্ধার করে।
এদিকে স্কুল শিক্ষকের মৃত্যুর পর তার বাড়ি থেকে পুলিশ ৯টি এনজিওর কিস্তির বই উদ্ধার করে। এতে ধারণা করা হচ্ছে তিনি ঋণগ্রস্ত ছিলেন।
স্থানীয়ভাবে জানা যায়, কিছু এনজিও তাকে কিস্তির টাকার জন্যে চাপ প্রয়োগ করে। ধারণা করা হচ্ছে, এ চাপ সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। বিষয়টি থানা পুলিশ খতিয়ে দেখছে বলে জানা যায়।
মাহবুবুর রহমান মামুন ২০০৫ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এবং ২০০৬ সালে তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। তিনি একজন শিক্ষক নেতা ছিলেন।