• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

মধ্য শ্রীরামদীতে ইদু হাওলাদারের সীমানা প্রাচীরসহ বসত ঘর ভাংচুর

প্রকাশ:  ১৫ মার্চ ২০২০, ১০:৫৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর পৌর ২নং ওয়ার্ডের পুরাণবাজার মধ্য শ্রীরামদী এলাকায় ইদু গাজীর সীমানা প্রাচীরসহ বসতঘর ভাংচুর করেন দুর্বৃত্তরা। বাধা দিতে গিয়ে বিবাদীদের হামলায় কয়েকজন মারাত্মকভাবে আহত হন। প্রতিকার চেয়ে পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।
জানা যায়, পুরাণবাজার নতুনরাস্তা সংলগ্ন পশ্চিম শ্রীরামদী এলাকার ইদ্রিছ হাওলাদার (ইদু)-এর সাথে পাশর্^বর্তী পানোরা বেগমের  (স্বামী মৃত হানিফা দর্জি) সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে বেশ ক’বার সালিস বৈঠক শেষে চাঁদপুর পৌরসভা থেকে জায়গার মাপ দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে দেয়া হয়। সেমতে ইদু হালদার তার প্রাপ্য সম্পত্তিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণপূর্বক ঘর তৈরি করে বসবাস করে আসছিলেন। কিন্তু তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় পাশে বসবাসরত পানোরা বেগম। তিনি এ সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে দিয়ে ইদু হাওলাদারের জায়গা দখল করার জন্যে কয়েকবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। ঠিক একইভাবে গত ১১ মার্চ বুধবার সকাল ১০টায় পানোরা বেগম সংঘবদ্ধ হয়ে ইদু হাওলাদারের পরিবারের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে পানোরা বেগমের নেতৃত্বে ছেলে মরণ দর্জি, কালু দর্জি, আরিফ দর্জি, রাসেদ দর্জি, মেয়ে সানু দর্জি গং দা, ছেনিসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ইদু হাওলাদারের পরিবারের উপর হামলা করে এবং তারা ইদু হাওলাদারের বসত বাড়িসহ সীমানা প্রচীর ভাংচুর পূর্বক তার সম্পত্তি দখল করার চেষ্টা করেন। তাদের হামলায় ইদু হাওলাদার, স্ত্রী নিলুফা বেগম, পুত্র রফিক হাওলাদার, পুত্রবধূ আয়েশা বেগমসহ কয়েকজন মারাত্মকভাবে আহত হলে তাদেরকে ওইদিনই আড়াইশ’ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ইদু হাওলাদারের ছেলে লিটন হাওলাদারের স্ত্রী আয়েশা বেগম ঘটনার বিচার চেয়ে জেলা পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু ফল হয় উল্টো। ইদু হাওলাদারকেই গতকাল ১৪ মার্চ পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ধরে নিয়ে গিয়ে জেল হাজতে পুরে দেয়। অথচ ভাংচুর ঘটনার কিছু সময় পর সংবাদ পেয়ে পুরাণবাজার ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন এবং ঘটনাস্থল থেকে পানোরা বেগমের ছেলে আরিফকে আটক করেন ও দা-ছেনি উদ্ধার করেন। কিন্তু অদৃশ্য হাতের ইশারায় কিছুক্ষণ বাদেই ফাঁড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন আরিফ। সে বেরিয়ে এসে ইদু হাওলাদারের পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকিসহ নানা ভয়-ভীতি ও অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন। তার খুঁটির জোর সম্পর্কে কিছু জানা না গেলেও এটুকু জানা যায়, পানোরা বেগমের মেয়ে মডেল থানায় এক পুলিশ কর্মকর্তার রান্নার কাজ করার সুবাদে তারা ইদু হাওলাদারের পরিবারের উপর এ ধরনের পেশী শক্তি প্রয়োগ করে আসছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি পানোরা বেগমের পেশী শক্তির হাত থেকে বাঁচতে ও সম্পত্তি রক্ষায় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।

 

সর্বাধিক পঠিত